পঠানকোট হানায় জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে এনআইএ-কে অনুমতি দিল কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপুঞ্জে মাসুদকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে ফের উদ্যোগী হতে চায় দিল্লি। এর আগে চিনের চাপে মাসুদকে নিষিদ্ধ করার আর্জি স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু পঠানকোট মামলায় চার্জশিট ভারতের হাত আরও শক্ত করবে বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।
মাসুদকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমা দেওয়ার আর্জিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা কমিটির অধিকাংশ সদস্যই সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে চিন। ফলে ভারতের আর্জি স্থগিত হয়ে যায়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, মাসুদের বিরুদ্ধে পঠানকোট ও উরি হামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলি পুরনো। কন্দহর কাণ্ডের সময়ে ভারত তাকে মুক্তি দিতেও বাধ্য হয়। তাই নয়া মামলায় তাঁকে চার্জশিট দেওয়া প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রের আইনি পরামর্শদাতারা। তাঁদের মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের দাবি জোরালো করতে কাজে লাগবে এই চার্জশিট। কারণ, মাসুদকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে আপত্তি তোলার সময়ে চিন দাবি করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। এর পরেই ইউএপিএ, বিস্ফোরক আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মাসুদ, তার ভাই আব্দুল রউফ এবং শাহিদ লতিফ ও কাসিফ জানকে চার্জশিট দিতে এনআইএ-কে অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শাহিদ ও কাসিফ পঠানকোট হানার সময়ে পাকিস্তান থেকে জঙ্গিদের হ্যান্ডলারের কাজ করেছিল বলে অভিযোগ।
মাসুদ, রউফ, লতিফ ও জানের বিরুদ্ধে আগেই রেড কর্নার নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোল। পঠানকোট হানার সময়ে হামলাকারী চার জঙ্গি ও কাসিফ জানের কথাবার্তার বিশদ বিবরণ পাকিস্তানকে দিয়েছিল আমেরিকা। ফেসবুকে ‘মোল্লা দাদুল্লা’ নামে খোলা একটি অ্যাকাউন্ট ও তার সঙ্গে যুক্ত একটি পাক মোবাইল নম্বরের খোঁজ পেয়েছিল এনআইএ। তাদের অভিযোগ, ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেও পঠানকোট হানার সময়ে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কাসিফ জান। এই প্রমাণও ইসলামাবাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান। আর রাষ্ট্রপুঞ্জে ক্রমাগত দিল্লির আর্জির মোকাবিলা করে চলেছে চিন।