Pahalgam Terrorist Attack

পেশা শিক্ষকতা, কাজ করতেন জঙ্গিদের হয়ে! পহেলগাঁওকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ধৃত ইউসুফের যোগাযোগ কী ভাবে ধরা পড়ল?

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে ইউসুফের যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তবে ওই হত্যালীলার সঙ্গে ধৃতের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৪
Share:

কাশ্মীরে গ্রেফতার মহম্মদ ইউসুফ কাটারি। ছবি: সংগৃহীত।

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের সাহায্যের অভিযোগে বুধবারই কাশ্মীরের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলায় এক বিশেষ অভিযানে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত মহম্মদ ইউসুফ কাটারি পেশায় শিক্ষক। চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি স্থানীয় বাচ্চাদেরও পড়ান তিনি। একই সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের ‘ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ (যে স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গিদের সাহায্য করেন, তাঁদের ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা ওজিডব্লুউ বলা হয়) হিসাবে কাজ করতেন তিনি।

Advertisement

তদন্তকারীদের অনুমান, পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ইউসুফের। পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের তিনি সাহায্য (লজিস্টিক সাপোর্ট) করেছিলেন বলে অভিযোগ। পহেলগাঁও হামলার জড়িত তিন জঙ্গিকে ইতিমধ্যে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগরের কাছে দাচিগ্রামের জঙ্গলে ‘অপারেশন মহাদেব’ চলাকালীন ওই তিন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র এবং অন্য সামগ্রী বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছিল। সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে ইউসুফের নাম।

ওই সূত্র ধরেই বুধবার কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলায় অভিযান চালায় শ্রীনগর পুলিশ। ওই অভিযান গ্রেফতার করা হয় ২৬ বছর বয়সি ইউসুফকে। তদন্ত প্রসঙ্গে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য না-করলেও পুলিশ জানিয়েছে, পহেলগাঁওকাণ্ডের পরবর্তী তদন্ত এবং বিশ্লেষণ চলাকালীন এই কাশ্মীরি যুবকের যোগসূত্র পাওয়া যায়। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “অপারেশন মহাদেব চলাকালীন নিহত জঙ্গিদের লজিস্টিক সাহায্য জুগিয়েছিলেন ইউসুফ। ওই জঙ্গিরা পহেলগাঁও হামলাতেও জড়িত ছিলেন।”

Advertisement

তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধৃতের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের ওই কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা অগ্রগতি হয়েছে, তা থেকে অনুমান ধৃত স্বেচ্ছায় জঙ্গিদের সাহায্য করেছিলেন। বস্তুত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় হামলা চালায় লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। তাতে ২৫ পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযান আরও জোরদার করেছে সেনা। পহেলগাঁওকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে দীর্ঘ দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পরে গত জুলাই মাসে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ তিন জঙ্গিকে খতম করে ভারতীয় সেনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement