প্রতীকী ছবি।
মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের ফের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বার পঞ্জাবে।
চন্ডীগড়ের জায়টু থানায় সে দিন তাঁর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছিলেন স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও, সাব ইনস্পেক্টরের মতো পদ) গুরমিত সিংহ, ভয়ডর না করে তা বলেছে ১৮ বছর বয়সী কলেজের ছাত্রীটি। সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে।
১২ জানুয়ারির ঘটনা। পঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি কলেজের ওই ছাত্রী সে দিন দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ জায়টু বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর কলেজেরই ছাত্র দুই বন্ধুকে নিয়ে। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়েই পুলিশের জিপসি গাড়ি নিয়ে তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ান গুরমিত। অভিযোগ, তার পর এক ঘণ্টা ধরে ওই ছাত্রীটির সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন গুরমিত। থানার অন্য পুলিশকর্মীদের আপত্তি সত্ত্বেও।
আরও পড়ুন- সিনেমা হলের ভিতরেই তরুণীকে ধর্ষণ ‘ফেসবুক-বন্ধু’র
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে ছাত্রীটি বলেছে, ‘‘স্যর (গুরমিত সিংহ) এসে প্রশ্ন করলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি কেন? বললাম, সরকারি বাস ধরতে। উনি আমার মোবাইল ফোন চাইলেন। বললাম, আমার ফোন নেই। তখন স্যর বললেন, বাজে কথা। তুইতোকারি করতে শুরু করলেন আমাদের। আমার দুই বন্ধুকে পুলিশের গাড়িতে উঠতে বললেন। ওরা উঠতে চায়নি। ওদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তুললেন পুলিশের গাড়িতে। আমাকে উঠতে বললেন। আমি উঠতে চাইনি। তখন আমার চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে স্যর আমাকে তুললেন গাড়িতে। কোনও লেডি পুলিশ ছিল না সেই গাড়িতে।’’
তার পর কী হল?
ছাত্রীটি জানিয়েছে, গাড়িতেই তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন গুরমিত। অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে থাকেন গুরমিত। তার পর থানায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীটির বন্ধু দুই ছাত্রকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন গুরমিত। তাদের শার্টও খুলিয়ে নেওয়া হয়। তার পর দু’টি ছা়ত্রের খালি গায়ে বেত দিয়ে সপাং সপাং করে মারতে থাকেন গুরমিত।
ছাত্রীটির কথায়, ‘‘এর পর স্যর আমাকে দেখিয়ে বললেন, তোর টার্ম। এ বার তোকে মারব। তখন অন্য পুলিশকর্মীরা ওঁকে বাধা দেন। তখন স্যর আমাকে বলেন, আমার দুই বন্ধুর মোজার গন্ধ শুঁকতে। আমার দুই বন্ধুকে বললেন, তাদের মোজাগুলি আমার নাকে ধরতে। ওই সময় স্যরকে আবার বাধা দেন অন্য পুলিশকর্মীরা। এর পর পৌনে ২টো নাগাদ থানা থেকে ছাড়া পাই আমি। আমার বন্ধুরা ছাড়া পায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ।’’