(বাঁ দিকে) ইঞ্জিনিয়ার জিপি মেহরা। (ডান দিকে) তাঁর অনেকগুলি বাড়ির মধ্যে একটি। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছিল। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অবসরপ্রাপ্ত সেই সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন লোকায়ুক্তর আধিকারিকেরা। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে এল। যা তাঁদের কল্পনার বাইরে ছিল বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার জিপি মেহরা। তাঁর ‘পাহাড়প্রমাণ’ সম্পত্তির হদিস পেল লোকয়ুক্ত। রুটিন তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন লোকাযুক্ত আধিকারিকেরা। কিন্তু সেই তল্লাশি অভিযানে ইঞ্জিনিয়ারের যে পরিমাণ সম্পত্তি, নগদ টাকা, সোনা, রুপোর গয়না এবং বাড়ি, বাংলো এবং জমির হদিস পেলেন তদন্তকারীরা, হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে গোটা শহরে। বৃহস্পতিবার সকালে মেহরার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোপাল এবং নর্মদাপুরমে ইঞ্জিনিয়ারের চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়াও মণিপুরম কলোনিতে মেহরার বিলাসবহুল বাড়িতেও একটি দল যায়। লোকযুক্ত সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের একটি বাড়ি থেকে প্রাথমিক ভাবে নগদ ন’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। ওই বাড়ি থেকেই ৫০ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও ৫৬ লক্ষ টাকা স্থায়ী আমানতের হদিস মিলেছে। তবে দানাপানির কাছে যে বিলাসবহুল বাড়িটি রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের, সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা এবং রুপো উদ্ধার হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারদর ৩০-৪০ কোটি টাকা।
নর্মদাপুরমে বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে মেহরার খামারবাড়ি। কী নেই সেখানে! ৩২টি কটেজ, বিশাল আকারের পুকুর, মন্দির এবং বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রয়েছে ওই খামারবাড়িতে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খামারবাড়িতে ঢোকার জন্য বিশাল লোহার গেট। বাইরে থেকে কারও পক্ষে বোঝা সম্ভবই নয় যে, ভিতরে এত সব ব্যবস্থা রয়েছে। ওই খামারবাড়ি থেকে কয়েক লাখ এবং কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল গাড়ি, ট্র্যাক্টর পাওয়া গিয়েছে। তবে সবচেয়ে যে বিষয়টি তদন্তকারীদের স্তম্ভিত করেছে, সেটি হল ১৭ টন মধু। কেন এই বিপুল পরিমাণ মধু মজুত করে রাখা হয়েছিল, সেটাই জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এটি ‘হিমশৈলের চূড়া’ মাত্র। মেহরার আরও সম্পত্তির হদিস মিলতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।