Disproportionate Case

বেতন ৩০ হাজার, ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩০ লাখের টিভি, ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি!

ভোপালের বিলখিরিয়া গ্রামে ২০ হাজার বর্গ ফুটের একটি জমি রয়েছে মীণার। সেই জমিতে এক কোটি টাকারও বেশি খরচ করে একটি বাংলো নির্মাণ করেছেন। ৪০টি ঘর রয়েছে সেই বাংলোতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ভোপাল শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১১:৪২
Share:

সহায়ক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি এক জন সহায়ক ইঞ্জিনিয়ার। মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে সেই ইঞ্জিনিয়ারের ঘরে তল্লাশি চালানোর সময় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

Advertisement

হেমা মীণা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের হাউজ়িং কর্পোরেশনের এক জন ইঞ্জিনিয়ার। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্ত করছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। বৃহস্পতিবার মীণার ভোপালের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল একটি দল। পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি চালানোর সময় মীণার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকার একটি টিভি। ৫০টি বিদেশি কুকুর। এ ছাড়াও ১০টিরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি।

পুলিশ সূত্রে খবর, মীণার ভোপালের বাড়ি থেকে যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, তার মূল্য কয়েক কোটি। শুধু ভোপালের বাড়িতেই নয়, মীণার সম্পত্তি মধ্যপ্রদেশের একাধিক জায়গাতেও ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ভোপালের বিলখিরিয়া গ্রামে ২০ হাজার বর্গ -ফুটের একটি জমি রয়েছে মীণার। সেই জমিতে এক কোটি টাকারও বেশি খরচ করে একটি বাংলো নির্মাণ করেছেন। ৪০টি ঘর রয়েছে সেই বাংলোতে। মীণা সেই জমিটি কিনেছেন তাঁর বাবার নামে। এ ছাড়াও রায়সেন, বিদিশাতেও একাধিক কৃষিজমি কিনেছেন এই সহায়ক ইঞ্জিনিয়ার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মীণার ফার্ম হাউসে রয়েছে ৫০টি বিদেশি কুকুর। যেগুলির এক একটি দাম লাখ টাকারও বেশি। এ ছাড়াও ওই ফার্ম হাউসেই ৬০-৭০টি আলাদা আলাদা প্রজাতির গরুও পাওয়া গিয়েছে। ২০ হাজার বর্গফুটে ছড়িয়ে থাকা সেই বাংলোতে ২০-২৫ জন কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ওয়াকি-টকি ব্যবহার করেন মীণা। শুধু তাই নয়, কুকুরদের রুটি খাওয়ানোর জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিনও রয়েছে। যার দাম আড়াই লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও মীণার দু’টি ট্রাক, একটি ট্যাঙ্কার এবং ১০টিরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া গিয়েছে ওই বাংলোতে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে ফার্ম হাউসে মীণা থাকেন, সেখানে একটি বিশেষ ঘর বানানো হয়েছে। ওই ঘরে দামি দামি মদ, সিগারেট পাওয়া গিয়েছে। ৩০ হাজার টাকা বেতনের এক ইঞ্জিনিয়ারের এই বিপুল সম্পত্তি দেখে তদন্তকারীদেরও ভিরমি খেতে হয়েছে। ওই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকা ডিএসপি সন্তোষ শুক্ল জানিয়েছেন, মীণার মোট সম্পত্তির হিসাব করে দেখা গিয়েছে, তাঁর যা আয়, তার তুলনায় সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩২ শতাংশ বেশি। মীণা ১৩ বছর ধরে চাকরি করছেন। সেই হিসাব যদি ধরা হয়, তা হলে এই সময়ের মধ্যে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ লক্ষ টাকা হওয়া উচিত। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ সাত কোটি টাকারও বেশি। তবে ডিএসপি জানিয়েছেন, যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিস মিলেছে, তা দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন