সেই সরকারি ইঞ্জিনয়ার নুনে শ্রীধর। ছবি: সংগৃহীত।
আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালালেন দুর্নীতিদমন শাখার (এসিবি) আধিকারিকেরা। তিনি তেলঙ্গানার সেচ দফতরে কর্মরত। অভিযুক্ত সেই সরকারি ইঞ্জিনিয়ার নুনে শ্রীধরের ১৩ ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তাঁর সম্পত্তির বহর দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকেরা।
এসিবি সূত্রে খবর, সম্প্রতি তাইল্যান্ডে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে পুত্রের বিয়ে দিয়েছেন শ্রীধর। শ্রীধরের বিরুদ্ধে মাসকয়েক আগেই আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিদেশে পুত্রের বিয়ের ঘটনা এসিবির নজর কাড়ে। শ্রীধরের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে নামে তারা। স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বলে এসিবি সূত্রের খবর।
এসিবি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের শেকপেটে একটি আবাসনে ৪৫০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে শ্রীধরের। এ ছাড়াও করিমনগরে রয়েছে আরও তিনটি ফ্ল্যাট। যেগুলির এক একটির দাম কোটি টাকার উপরে। শুধু তা-ই নয়, এসিবি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট ছাড়াও শ্রীধরের কয়েকটি বাংলোও রয়েছে। তার মধ্যে একটি হায়দরাবাদের তেল্লাপুরে রয়েছে। বাকিগুলির খোঁজ চলছে। এ ছাড়াও ওয়ারাঙ্গল, করিমনগর এবং হায়দরাবাদে তিনটি বাড়ি রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের।
এখানেই শেষ নয়। এসিবি সূত্রে খবর, করিমনগরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি হোটেলও রয়েছে শ্রীধরের। বাড়ি, ফ্ল্যাট, বাংলো এবং হোটেল ছাড়াও রাজ্যের তিন শহরে ১৯টি বাস্তু জমি আছে। এ ছাড়াও রয়েছে ১৬ একর কৃষিজমি। এ তো গেল স্থাবর সম্পত্তির হিসাব। এসিবি জানিয়েছে, বাড়ি থেকেও নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই টাকার পরিমাণ কত, এখনও তা স্পষ্ট নয়। শ্রীধরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও বিপুল টাকার হদিস মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গয়নাও।
এসিবি সূত্রে জানানো হয়েছে, আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে শ্রীধরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং হোটেলের সব নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, বেনামে আরও অনেক সম্পত্তি কিনে রেখেছেন শ্রীধর। সেগুলির হদিস পেতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে।