প্রতিবেশীর গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। দুবাই প্রবাসী স্বামীর কাছে জানিয়েছিলেন লাঞ্ছনার কথা। কিন্তু স্ত্রীর মুখে গণধর্ষণের কথা শুনে তখনই তাঁকে এসএমএসে তিন বার তালাক দেন স্বামী।
উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ২৫ বছরের ওই মহিলা জানিয়েছেন স্বামী তালাক দেওয়ার পর তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শাশুড়ি। মহিলা বলেন, ‘‘এসএমএস পড়ে আমি থমকে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস হচ্ছিলা না কী পড়লাম। শুধু তিনটে শব্দ, তালাক, তালাক, তালাক। আমার নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছিল। ভেবেছিলাম এই সময় ও আমার পাশে থাকবে। আমার যন্ত্রণা ভাগ করে নেবে। কিন্তু আমি ভুল বুঝেছিলাম। ভীতুর মতো ও আমাকে ডিভোর্স দিল।’’ এখন নিজের বাবা, মায়ের সঙ্গে মীরাটে থাকেন তিনি। পাঁচ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। চার বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে ওই দম্পতির।
মুসলিম শরিয়ত আইন অনুযায়ী কোনও পুরুষ তিন বার তালাক বলে তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারেন। ঘটনা শোনার পর ইন্ডিয়ান মুসলিম উইমেন’স মুভমেন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাকিয়া সোমন বলেন, মুসলিম পুরুষরা তালাক দেওয়ার জন্য এসএমএস, স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ প্রযুক্তির অপব্যবহার করছেন।