— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিনেদুপুরে ঘরে ঢুকে মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করলেন দুই যুবক। তার পর দামি জিনিসপত্র চুরি করে চম্পট দিলেন। শুধু তা-ই নয়, পালানোর আগে শৌচাগারে ঢুকে স্নান সেরে, রক্তমাখা জামাকাপড় বদলে তবেই বেরোলেন! বুধবার হায়দরাবাদে ঘটনাটি ঘটেছে। দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম রেণু আগরওয়াল (৫০)। শহরের সাইবারাবাদ এলাকার এক বহুতল আবাসনের ১৩ তলার ফ্ল্যাটে স্বামী ও পুত্রের সঙ্গে থাকতেন রেণু। বুধবার সকালে মহিলার স্বামী ও ছেলে রোজকার মতো কাজে বেরিয়েছিলেন। বিকেলের দিকে দু’জনেই একাধিক বার বাড়িতে ফোন করেন, কিন্তু ও প্রান্তে কেউ ফোন ধরেনি। এর পরেই বাবা-ছেলের খটকা লাগে। তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখেন, সারা ঘর লন্ডভন্ড। আর মেঝেতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে রেণুর গলা-কাটা রক্তাক্ত দেহ। মাথায় গভীর ক্ষত।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ওই মহিলাকে প্রথমে হাত-পা বেঁধে মাথায় প্রেশার কুকার দিয়ে আঘাত করা হয়। তাতে মাথা ফেটে যায় রেণুর। কিন্তু তাতে ক্ষান্ত হননি অপরাধীরা। ছুরি ও কাঁচির সাহায্যে রেণুর গলা কেটে ফেলেন তাঁরা। তার পর বাড়িতে থাকা সমস্ত দামি জিনিস লুঠ করে চম্পট দেন। ওই বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ গ্রাম সোনা এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে বলে খবর। শুধু তা-ই নয়, পালানোর আগে রীতিমতো শৌচাগারে ঢুকে স্লান সেরে, ধোয়া পোশাক পরে পরিপাটি হয়ে বেরিয়েছেন অপরাধীরা! শৌচাগারে তাঁদের রক্তমাখা পোশাকও মিলেছে।
ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রেণুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে রেণুদের পরিচারক-সহ দু’জনকে সন্দেহভাজন হিসাবে দেখা হচ্ছে। দ্বিতীয় অভিযুক্তও একই আবাসনে পরিচারকের কাজ করতেন। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে দু’জন একসঙ্গে ১৩ তলায় যান। বিকেল ৫টা নাগাদ ফের একসঙ্গেই বেরিয়ে যান দু’জনেই। ঘটনার পর থেকে দু’জনেই পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।