চক্রান্তের শিকার, দাবি রুমির

রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করলেন অসমের কংগ্রেস বিধায়ক রুমি নাথ। গাড়ি চুরি চক্রের পাণ্ডা অনিল চৌহানের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে সমস্ত অভিযোগ ফের উড়িয়ে দিলেন তিনি। কয়েক দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর আজ আনন্দবাজারকে রুমিদেবী জানালেন— এ সবের জন্য তাঁর ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কারও মুখের কথায় দোষ প্রমাণিত হয় না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩২
Share:

রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করলেন অসমের কংগ্রেস বিধায়ক রুমি নাথ। গাড়ি চুরি চক্রের পাণ্ডা অনিল চৌহানের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে সমস্ত অভিযোগ ফের উড়িয়ে দিলেন তিনি। কয়েক দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর আজ আনন্দবাজারকে রুমিদেবী জানালেন— এ সবের জন্য তাঁর ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কারও মুখের কথায় দোষ প্রমাণিত হয় না।’’

Advertisement

ভুল না করলে অজ্ঞাতবাসে ছিলেন কেন? ফোনে রুমিদেবীর জবাব, ‘‘সবই অপপ্রচার। এক সপ্তাহ ধরে বিধায়ক আবাসেই ছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় ফোন বন্ধ রেখেছিলাম।’’ অনিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অভিযোগও এ দিন বার বার উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, অনিলের স্ত্রী তথা কংগ্রেস কর্মী রীতাদেবীর সঙ্গে তাঁর আলাপ ছিল। কয়েক বার অনিলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তির কাজকর্মের বিষয়ে কোনও খবর তাঁর কাছে ছিল না। রীতাদেবীর অনুরোধেই বিধানসভার কার-পাস অনিলকে দিয়েছিলেন।

রুমিদেবীর মাধ্যমেই অনিলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল বলে জেরায় পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী জ্যাকি জাকির (বর্তমানে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে)। কিন্তু এ নিয়ে ওই কংগ্রেস বিধায়ক এ দিন বলেন, ‘‘জাকির এক জন অপরাধী। ওঁর কথায় কী আসে যায়? যে কেউ, যা খুশি অভিযোগ করতে পারে। তাতে কী অপরাধ প্রমাণিত হয়?’’ জাকিরকে চোরাই বিএমডব্লু গাড়ি উপহার দেওয়ার কথাও অস্বীকার করেন রুমিদেবী। এ বিষয়ে বিরোধী এআইইউডিএফ-এর সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘গগৈ সরকার এমনিতেই বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তার উপর এখন গাড়ি চোরের সঙ্গে যুক্ত বিধায়ককে সুরক্ষা দিচ্ছে। এতে অসমবাসী আইন ও গণতন্ত্রের উপরে আস্থা হারাবেন।’’ নিন্দায় সরব অসম গণ পরিষদও।

Advertisement

কেন রুমিদেবীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী জানান, কারও বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে বা তদন্তের স্বার্থে কাউকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পুলিশ তা করবে। এ ক্ষেত্রে এখনও তা জরুরি হয়নি। রুমিদেবী তদন্তে বাধা বা প্রভাবিত করবেন বলে আশঙ্কা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন