পাসপোর্ট পাওয়ার আবেদনে নিজেকে ‘ভারতীয় নাগরিক’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু পাসপোর্ট অফিস থেকে বেরিয়ে এসেই হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি বলেন, ‘‘জন্মসূত্রে আমি ভারতীয় নই। পাসপোর্টের আবেদনে ভারতীয় লেখাটা আমার বাধ্যবাধকতা। তা না হলে আমি পাসপোর্ট পাব না।’’
অসুস্থ মেয়েকে দেখতে সৌদি আরব যেতে চান গিলানি। তাই পাসপোর্টের আবেদন করেছেন তিনি। এই ব্যাপারে নিয়মকানুন সারতে শুক্রবার পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে যান হুরিয়ত নেতা। পাসপোর্ট অফিসের এক কর্তা বলেন, ‘‘গিলানি তাঁর বায়োমেট্রিক তথ্য— আঙুলের ছাপ, চোখের মণির স্ক্যান সমস্ত কিছু জমা দিয়েছেন।’’ আবেদনের ‘ন্যাশনালিটি কলামে’ ভারতীয় লেখেন গিলানি। কিন্তু অফিস থেকে বেরিয়েই হুরিয়ত নেতা দাবি করেন, তিনি ভারতীয় নন। গিলানির এই বক্তব্যকে সমর্থন করে হুরিয়তের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘ভারতীয় পাসপোর্টে ভ্রমণ করা প্রতিটি কাশ্মীরির বাধ্যবাধকতা।’’