কাশ্মীর-ক্ষোভেই পদত্যাগ: কন্নন

সং‌বাদমাধ্যমের দাবি, ওই শোকজ় নোটিসে কন্ননের প্রতি অভিযোগ করা হয়েছে যে, বন্যার সময়ে কেরলে গেলেও ফিরে এসে তিনি রিপোর্ট দেননি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

কন্নন গোপীনাথ।

জম্মু-কাশ্মীরের কয়েক লক্ষ মানুষের ‘মৌলিক অধিকার খর্ব’ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে এ বার নিজমুখে দাবি করেছেন আইএএস অফিসার কন্নন গোপীনাথ। তবে সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত আগে থেকেই চলছিল। জুলাই মাসেই তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আন্ডারসেক্রেটারি রাকেশ কুমার।

Advertisement

সং‌বাদমাধ্যমের দাবি, ওই শোকজ় নোটিসে কন্ননের প্রতি অভিযোগ করা হয়েছে যে, বন্যার সময়ে কেরলে গেলেও ফিরে এসে তিনি রিপোর্ট দেননি। প্রশাসনে উদ্ভাবনী ক্ষমতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপকদের নাম খোঁজার ক্ষেত্রেও তিনি নির্দেশ মানেননি। ১০ দিনের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে কন্ননকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নিজের জবাবি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন কন্নন। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি দায়িত্ব নিয়েই কাজ করেছেন। কেরলে বন্যাত্রাণের কাজের জন্য তিনি সাংসদ তহবিলের ১ কোটি টাকা হাতে পেয়েছিলেন। পাশাপাশি দাদরা ও নগর হাভেলিতে তিনি সুষ্ঠু ভাবে লোকসভা ভোট করিয়েছেন। তিনি দায়িত্বে থাকার সময়ে ২০১৮-১৯ সালে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরও সফল হয়েছিল বলে জানান কন্নন। বস্তুত অতীতে কন্ননের কাজের প্রশংসাই শোনা গিয়েছিল বারবার। কেরলে বন্যার সময়ে ত্রাণকার্যে যোগ দিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন কন্নান। দাদরা ও নগর হাভেলি প্রশাসনের শক্তি, গ্রামোন্নয়ন ও কৃষি দফতরের প্রাক্তন সচিব কন্ননের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি লাভের মুখ দেখেছিল।

সম্প্রতি কন্নন যে কাশ্মীরের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ ছিলেন, সে কথা আগের দিনই আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রে জানানো হয়েছিল। এ দিন কন্নন নিজেই বলেছেন, ‘‘গত ২০ দিন ধরে কাশ্মীরের লক্ষ লক্ষ মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। অথচ ভারতের অনেকেরই তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। জানি আমার পদত্যাগে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হবে না। কিন্তু আমাকে তো নিজের বিবেকের কাছেও জবাবদিহি করতে হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন