আইআইটি দিল্লির সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ছবি: এক্স।
দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি)-র ৫৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল শনিবার। শংসাপত্র হাতে পেলেন ২,৭৬৪ জন পড়ুয়া। তবে এ বারের স্নাতকদের মধ্যে প্রায় এক চতুর্থাংশ মহিলা ছিলেন। ২০২৫ সালে ২,৭৬৪ জনের মধ্যে ৭৩৫ জন, অর্থাৎ ২৬ শতাংশ মহিলা পড়ুয়া শংসাপত্র পেয়েছেন, যা পূর্ববর্তী বছরগুলির চেয়ে বেশি। আর এতেই আশার আলো দেখছেন অনেকে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ৫৩০ জন গবেষক পিএইচডি শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন। ২০টি দেশের ৪৩ জন বিদেশি পড়ুয়াও শংসাপত্র পেয়েছেন। এ বারের সব চেয়ে কম বয়সি স্নাতক ছিলেন ২০ বছর বয়সি চন্দন গোদারা। আর সবচেয়ে বেশি বয়সে স্নাতক হয়েছেন ৬৩ বছর বয়সি গোপাল কৃষ্ণ তনেজা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ডিআরডিও-র প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল (অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমস) টেসি থমাস। এ ছাড়াও ছিলেন সেন্টার ফর হায়ার এডুকেশনের উপাচার্য নূরুল ইসলাম। উদ্বোধনী ভাষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, কৃত্রিম উপগ্রহ এবং মানব ও যন্ত্রের সমন্বয়ের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন টেসি। পাশাপাশি, বিজ্ঞানের আদর্শগত এবং মানবিক আঙ্গিকটির উপর জোর দেন তিনি। ভারতকে প্রযুক্তি আমদানিকারক থেকে বিশ্ব জুড়ে অন্যতম রফতানিকারক দেশ করে তোলার ক্ষেত্রে ইসরো, ডিআরডিও, আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়। স্নাতকদের ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রের উদ্ভাবনের মানবিক দিকটি মাথায় রাখারও পাঠ দেন টেসি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের কৃতীদের। অঙ্কিত মণ্ডল পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক। এ ছাড়াও স্বর্ণপদক পেয়েছেন জসকরণ সিংহ সোধি এবং দেবেন্দ্র কুমার। নিখুঁত ১০ সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক হওয়ার বিরল গৌরব অর্জন করেছেন দুই পড়ুয়া।