Dera Sacha Sauda

‘বাবা’র ডেরা থেকে মহিলা হস্টেল পর্যন্ত গোপন সুড়ঙ্গের হদিশ

কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে রুরকি থেকে আসা ফরেন্সিক দলকে। বিস্ফোরকের প্রকৃতি এবং তা কতটা শক্তিশালী সে সব পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিরসা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৩৪
Share:

ডেরায় রাম রহিম।— ফাইল চিত্র।

বাবা রাম রহিমের ব্যক্তিগত আবাস থেকে সুড়ঙ্গটা চলে গিয়েছে সোজা সাধ্বী নিবাসের দিকে। বাইরে থেকে বোঝার কোনও উপায় নেই। এই গোপন পথের সন্ধান মিলল সিরসার ডেরায়। এটা ছাড়াও, আর একটা সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছে গতকাল থেকে তল্লশি চালানো টিম। হরিয়ানা সরকারের মুখপাত্র সতীশ মিশ্র জানিয়েছেন, “আমরা জানলার মতো চৌকোনা একটা সুরঙ্গপথ পেয়েছি যেটা ডেরা আবাস থেকে সাধ্বী নিবাস পর্যন্ত গিয়েছে।” দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটা ডেরার ভিতর থেকে শুরু হয়ে পাঁচ কিলোমিটার বাইরে গিয়ে শেষ হয়েছে। এটা পুরোটাই মাটির। সম্ভবত দরকারে পালানোর পথ হিসেবেই এটা তৈরি রাখা হয়েছিল, মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

শনিবার ছিল সিরসার ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরে পুলিশি তল্লাশির দ্বিতীয় দিন। এ দিনের তল্লাশিতে আস্ত একটি বিস্ফোরক কারখানার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ কার্টুনের বেশি বিস্ফোরক। তল্লাশি অভিযান শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খোঁজ মেলে কারখানাটির। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এখানে বহু দিন ধরে তৈরি করা হত বিস্ফোরক। কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে রুরকি থেকে আসা ফরেন্সিক দলকে। বিস্ফোরকের প্রকৃতি এবং তা কতটা শক্তিশালী সে সব পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক বাইরে বিক্রি করা হত কি না, সে বিষয়টিরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাধ্বীর সেই চিঠি, পড়লে শিউরে উঠবেন

Advertisement

আরও পড়ুন: পোঁতা আছে বহু লাশ, মানল ডেরা

প্রথম দিনের তল্লাশিতে মিলেছিল ১ টাকার নীল, ১০ টাকার কমলা রঙের প্লাস্টিকের কয়েন। মিলেছে ১২০০টা নতুন নোট। বাতিল পাঁচশো-হাজারের ৭০০০টা নোট। পাওয়া গিয়েছে ১৫০০ জোড়া জুতো, ৩ হাজারেরও বেশি ডিজাইনার জামাকাপড়! বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অজস্র ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ। ডেরার সদর দফতরে বহু লাশ পোঁতা রয়েছে বলেও খবর মিলেছে। সে জন্য ইতিমধ্যেই জেসিবি মেশিন এনে মাটি খোঁড়া শুরু করেছে পুলিশ।

নিরাপত্তার খাতিরে এ দিনও তল্লাশির সময়ে জেলায় মোতায়েন রয়েছেন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। গতকালের মতো এ দিনও ডেরা সদর দফতরের বাইরে রয়েছে ডগ স্কোয়াড। রয়েছে বম্ব স্কোয়াড, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন