আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কোনও ভাবেই মেডিক্যাল প্রবেশিকা এআইপিএমটি (অল ইন্ডিয়া প্রি-মেডিক্যাল অ্যান্ড প্রি-ডেন্টাল এন্ট্রান্স টেস্ট) নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল সিবিএসই বোর্ড। নতুন করে এই মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় চেয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে সিবিএসই-র তরফে।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। ৫ জুন এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা ছিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে যায়। ১৫ জুন এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে ওই পরীক্ষা নিতে হবে। শুনানিতে বোর্ডের তরফে জানানো হয়, প্রশ্ন ফাঁসে যুক্ত ৪৪ জনের জন্য ৬ লক্ষ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর ফের পরীক্ষা নেওয়া যায় না। এতে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানায় বোর্ড। নতুন করে পরীক্ষার চার মাস সময় চাওয়া হয়। কিন্তু বোর্ডের কোনও যুক্তিই মানতে রাজি হননি বিচারপতি আর কে অগ্রবাল ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ। তাঁরা নিজেদের রায়ে বহাল থাকেন। এর পরই প্রবেশিকা পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। চাওয়া হয় অন্তত তিন মাসের সময়সীমা।
এআইপিএমটি-র প্রশ্ন ফাঁসের তদন্ত করছে হরিয়ানা পুলিশ। পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন হাতে পেয়েছে এমন ৪৪ জন পরীক্ষার্থীকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৭০০ জন পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের।