Bizarre Incident

সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তির পাঁচ দিনের মাথায় আবার সাপের কামড়! অদ্ভুত ভাবে মৃত্যু

জাসাব যোধপুর জেলার মেহরানগড় গ্রামের বাসিন্দা। গত ২০ জুন তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে একটি সাপ কামড়ে দেয়। এর পর বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে পোখরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জয়পুর শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৩
Share:

(বাঁ দিকে) জাসাব খান। এ রকমই একটি সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে জাসাবের (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

একেই বলে নিয়তি! পাঁচ দিনের মধ্যে পর পর দু’বার সাপের কামড়। এক বার সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতাল থেকে বেঁচে ফিরলেও শেষরক্ষা হল না। হাসপাতাল থেকে ফেরার ঠিক পর দিনই আবার একই জাতের সাপের কামড়ে মৃত্যু হল তাঁর। রাজস্থানের জোধপুরের ঘটনা। মৃত ব্যক্তির নাম জাসাব খান। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাসাবকে দু’বারই একই প্রজাতির সাপে কামড়েছিল। বিশেষ ওই প্রজাতির সাপ রাজস্থানে ‘বান্ডি’ নামে পরিচিত। যা সাধারণত মরুরাজ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাসাব জোধপুর জেলার মেহরানগড় গ্রামের বাসিন্দা। গত ২০ জুন তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে একটি সাপ কামড়ে দেয়। এর পর বছর চল্লিশের জাসাবকে পোখরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতালে চার দিন ভর্তি থাকার পর ২৫ জুন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন জাসাব। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ঠিক এক দিন পর অর্থাৎ, ২৬ জুন আবার তাঁকে একটি সাপ কামড়ে দেয়। তবে এ বার তাঁর ডান পায়ে। জাসাবতে তড়িঘড়ি জোধপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকদের অনুমান, প্রথম বার সাপের কামড় খাওয়ার পর জাসাব পুরোপুরি সুস্থ হননি। তার মধ্যেই আবার দ্বিতীয় বার সাপের কামড়ে তাঁর শরীর বিষের মাত্রা সহ্য করতে পারেনি। আর সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

জাসাবের পায়ে সাপ প্রাকৃতিক উপায়ে কামড় দিয়েছিল, না তাঁকে ইচ্ছা করে সাপের কামড় খাওয়ানো হয়েছিল— তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে রাজস্থানের ভানিয়া থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন