—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে খুন হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের যুবক। ২ বছর পর সেই মামলার রায় ঘোষণা করল আগরার নিম্ন আদালত। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, মদ খাওয়ানোর নাম করে ওই যুবককে ধর্ষণ করে খুন করেন দুই বন্ধু। গত শুক্রবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এক জনকে ৫০ এবং অন্য জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
নির্যাতিত একটি জুতোর কারখানায় কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ২১ এপ্রিল এক পরিচিতের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর বাড়িতে যান তিনি। দুই অভিযুক্তও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে খবর, মদ্যপান করানোর নাম করে অভিযুক্তেরা ওই যুবককে নিয়ে বার হন। তাঁরা বাইকে বার হন। পরের দিন কিরোলি থানা এলাকায় একটি জঙ্গলে উদ্ধার হয় নির্যাতিতের দেহ। প্রাথমিক ভাবে শুধু খুনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় শুধু খুন নন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন যুবক। গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় (প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন কার্যকলাপ) মামলা যুক্ত করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে একটি বিষয় গন্ডগোল চলছিল। জন্মদিনের পার্টিতে মিটমাট হয় তাঁদের। সেই উপলক্ষে মদ্যপান করতে গিয়েছিলেন তিন জন। কিন্তু নির্জন রাস্তায় বাইক দাঁড় করিয়ে যুবককে তাঁর দুই বন্ধু ধর্ষণ করে খুন করেন।
সংশ্লিষ্ট মামলায় ২০২৩ সালের ৩১ মে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। তথ্যপ্রমাণ দিয়ে পুলিশ দাবি করে ধর্ষিত হয়েছিলেন যুবক। তার পরে তাঁকে খুন করা হয়।
আদালতে দুই অভিযুক্তই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁদের দাবি ছিল জোর করে তাঁদের এই মামলায় জড়িয়েছে পুলিশ। কিন্তু সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দু’জনের বিপক্ষে যায়। এর পর দু’জন সাজা কমানোর আর্জি জানান আদালতে। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এটা তাঁদের প্রথম অপরাধ। অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত ছিলেন না। যদিও বিচারক দীনেশকুমার চৌরাসিয়া তাঁদের আর্জি খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।