বিজেপি’কে খুশি করল। কংগ্রেসকেও অস্বস্তিতে ফেলল না। আর অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ) আরও বেশি করে ধরাশায়ী হল।
দেশের ৮ রাজ্যের ১০টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের এটাই মূল নির্যাস। ১০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেল ৫টি আসন। তার মধ্যে ৩টি বিজেপি’র জেতা আসন হলেও, কেন্দ্রের শাসক দলের স্বস্তির কারণ, বাকি দু’টি আসন তারা ছিনিয়ে নিতে পেরেছে। বিজেপি’র বাড়তি স্বস্তির কারণ, পঞ্জাবকে বাদ দিয়ে সদ্যই শেষ হওয়া চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এ বার হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি ও অসমেও পাঁচটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জিতে বিজেপি তার সর্বভারতীয় অস্তিত্বকে আরও এক বার প্রমাণ করতে পারল। পশ্চিমবঙ্গের কাঁথিতেও ভোট অনেক বেশি বাড়াতে পেরেছে বিজেপি। পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান।
আর সদ্যই চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর কংগ্রেসের অস্বস্তি কিছুটা দূর করতে পারল এ বার ১০টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। কারণ, কর্নাটকের দু’টি বিধানসভা আসন- নাঞ্জনগুড় ও গুন্ডলুপেটই কংগ্রেস ধরে রাখতে পেরেছে। মধ্যপ্রদেশের আতের বিধানসভা কেন্দ্রটিতেও বিজেপি’র থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।
তবে সবচেয়ে করুণ অবস্থা কেজরীবালের দল আপ-এর। পঞ্জাব ও গোয়ার বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর এ বার দিল্লির রজৌরি গার্ডেন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও বিজেপি’র কাছে পর্যুদস্ত হল আপ। ঝাড়খণ্ডের লিট্টিপুরায় অবশ্য এগিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)।
তবে উপনির্বাচনের এ দিনের ফলাফলে সবচেয়ে খুশি হয়েছে বিজেপি। কারণ, নিজেদের তিনটি আসন তারা শুধু ধরে রাখতে পেরেছে বলে নয়, হিমাচল প্রদেশের ভোরাঞ্জ ও রাজস্থানের ঢোলপুর আসনদু’টি তারা ছিনিয়ে নিতে পেরেছে।
আরও পড়ুন- গড় বাঁচল, ভোট বাড়ল, চিন্তাও বাড়ল তৃণমূলের