বিহারে মত্ত অবস্থায় গ্রেফতার সরকারি আধিকারিক। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু মত্ত অবস্থায় সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলেন এক রাজ্য সরকারি আধিকারিক। মন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চেও ছিলেন। কিন্তু মদের গন্ধেই হল ‘বিপদ’। জেলাশাসকের কাছে ধরা পড়ে মত্ত মৎস্য আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, ওষুধ খেয়েছিলেন, মুখ থেকে তার গন্ধ বেরোচ্ছে। শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে নীতীশ কুমারের পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার ছিল জাতীয় মৎস্য চাষি দিবস। সেই উপলক্ষে সুপল জেলায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মন্ত্রী নীরজকুমার সিংহ থেকে জেলাশাসক শাওন কুমার। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মের দায়িত্বে ছিলেন জেলা মৎস্য আধিকারিক শম্ভু কুমার। জানা যাচ্ছে, চাষি এবং মৎস্যজীবীদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার সময় শম্ভুর বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে কেউ কেউ অভিযোগ জানান। জেলাশাসক নিজে তখন শম্ভুর কাছে যান। কিন্তু আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই সমস্যায় পড়ে যান জেলাশাসক। সরকারি সূত্রে খবর, মৎস্য আধিকারিক জেলাশাসকের সঙ্গে অদ্ভুত ব্যবহার করতে শুরু করেন। এর পর জেলাশাসক আরও কয়েক জন সরকারি আধিকারিককে ডাকেন। কিছু ক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সরকারি আধিকারিককে। আবগারি দফতরের ইনস্পেক্টর অশোক কুমার বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় জেলাশাসক আমাকে একটি রিপোর্ট দেন। অভিযোগ, এক সরকারি আধিকারিক অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় রয়েছেন। আমরা ব্রিথ অ্যানালাইজ়ার এবং আরও কিছু সরঞ্জাম নিয়ে সার্কিট হাউসে যাই। পরীক্ষায় প্রমাণিত যে ওই অফিসার মত্ত অবস্থায় ছিলেন।’’
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সুপলে ওই আধিকারিকের কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল। অন্য একটি জেলায় তাঁর ‘পোস্টিং’ ছিল শুক্রবার। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগে ‘শুখা’ বিহারে মদ খেয়ে গ্রেফতার হলেন তিনি। সহকর্মীদের অবশ্য অভিযোগ, আগেও মদ খেয়ে নানা কাণ্ড ঘটিয়েছেন শম্ভু। তবে সেগুলো প্রকাশ্যে আসেনি। এ বারেও জেলাশাসকের কাছে ধরা পড়ে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ থেকে মদ নয়, হোমিয়োপ্যাথি ওষুধের গন্ধ বেরোচ্ছে!