সিনেমার শুরুতেই হলগুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে বাজাতে হবে জাতীয় সঙ্গীত। বুধবার এমনই নির্দেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন প্রতিটি দর্শককে উঠে দাঁড়াতে হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশে। তা ছাড়া, জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় বড়পর্দায় জাতীয় পতাকার প্রদর্শন করতে হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই দেশ জুড়ে সমস্ত সিনেমা হল-মাল্টিপ্লেক্সে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপনী প্রচারে জাতীয় সঙ্গীতের অপব্যবহার রুখতে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেন ভোপালের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার শ্যামনারায়ণ চৌসকি। তাঁর আবেদনের জবাবে এই নির্দেশিকা জারি করে শীর্ষ আদালত। এ দিনের রায়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি অমিতাভ রায় বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় প্রত্যেকেরই বাধ্যতামূলক ভাবে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত। এতে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের ধারণা বাড়বে।” জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পাশাপাশি এর অপব্যবহার রুখতেও কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় সঙ্গীত বিকৃত করা বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের জন্য তা অতিনাটকীয় ভাবে পেশ করার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া, কোনও রকম আপত্তিকর বস্তুর উপর জাতীয় পতাকা ছাপা যাবে না।
ষাটের দশকে সিনেমা হলগুলিতে সিনেমার শেষে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর ব্যবস্থা ছিল। ধীরে ধীরে সেই নিয়ম উঠে গেলেও ২০০৩-এ মহারাষ্ট্র সরকার ফের সে নিয়ম ফিরিয়ে আনে। যদিও এ দিন শুনানি চলাকালীন বিপক্ষের আইনজীবী অভিনব শ্রীবাস্তবের দাবি ছিল, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বহু মানুষই মোবাইলে কথা বলতে থাকেন এমনটাও দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন