ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানির গন্ধে আমোদিত হল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক!
সম্প্রতি নয়াদিল্লির প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ উৎসবের এটি ছিল মূল থিম। উপস্থিত ছিলেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলি। বক্তৃতায় মোয়াজ্জেম জানান, দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক স্থলসীমান্ত চুক্তির পথ ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে আগামী দিনে আরও গভীরতর হবে তার সমস্ত লক্ষণ স্পষ্ট। শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যোগযোগই নয়, দু’দেশের মানুষের মধ্যে প্রীতির বন্ধন বাড়ানোটাও এই মুহূর্তে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে। মোয়াজ্জেমের কথায়: ‘‘১৯৭৪-এর পর থেকে যদি ধরা যায় তবে এটা বলতে হবে যে এই মুহূর্তে দু’দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে। সহযোগিতার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া হাতে ভারত বিরোধী জঙ্গি দমন করার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আস্থা ও বিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছে।’’ এর পর সহাস্য মোয়াজ্জেমের উক্তি, ‘‘আমি আর কথা বাড়িয়ে সময় নষ্ট করব না। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের রান্নার স্বাদ নেওয়ার জন্য!’’
সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে বিশেষ অনুষ্ঠান হলে যে কাচ্চি বিরিয়ানির ডাক পড়ে, এ বার সেই প্রস্তুতকারক সংস্থা হাজির ছিল প্রেসক্লাবের লনে। ছিলেন সেখানকার সব রাঁধুনি। ছিলেন সংস্থার মালিক মহম্মদ ইউসুফ আলিও। যিনি জানাচ্ছেন, ‘‘ভারত ডাকলে বার বার আসব।’’ কালাজিরা চাল এবং ইরানি জাফরান দিয়ে তৈরি ঢাকার এই আনন্দ ক্যাটারারের তৈরি (মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে যাদের তৈরি বিরিয়ানি ক্রমশ প্রসিদ্ধ হয়েছে) এই বিরিয়ানিকে কাচ্চি বলে কেন? নানা জনে নানা মতের মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন খোদ হাইকমিশনারই। জানালেন, এই বিরিয়ানিতে মাংস এবং চাল সমস্ত মশলা দিয়ে একইসঙ্গে মাটির হাঁড়িতে ভাপে বসিয়ে দেওয়া হয়। পৃথক ভাবে নয়, কাঁচা মাংসটিও রান্না হতে থাকে চালের সঙ্গেই। তাই লোকমুখে এর নাম হয়ে গিয়েছে কাচ্চি বিরিয়ানি!