১০০ ফুটের দণ্ডে জাতীয় পতাকা রেল স্টেশনে

দেশে প্রথম সারির (এ-১) ৭৫টি স্টেশনে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ ফুট লম্বা দণ্ডে জাতীয় পতাকা টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল বোর্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

রেল স্টেশনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখলে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হবেন সকলেই। রেলের ভাবনা এমনই।

Advertisement

দেশে প্রথম সারির (এ-১) ৭৫টি স্টেশনে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ ফুট লম্বা দণ্ডে জাতীয় পতাকা টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল বোর্ড। আসা-যাওয়ার পথে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের নজরে পড়ে, এমন জায়গা দেখে পতাকা টাঙাতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলো এবং সাজসজ্জার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পতাকার যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলরক্ষী বাহিনীকে। রেলের এক আধিকারিক জানান, কর্মী এবং যাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বোধ সঞ্চারিত করতে এই ব্যবস্থা। বিভিন্ন লোকাল ট্রেন এবং মেল এক্সপ্রেস ট্রেনকেও জাতীয় পতাকার রঙে সাজাবে রেল।

রেলের বিভিন্ন অঞ্চলগুলিকে গত মাসে রেল বোর্ডের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সব স্টেশনে বছরে রেলের ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়, সেগুলিতে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। ‘সফট আপগ্রে়ড ইমপ্রুভমেন্টস অ্যাট স্টেশনস’ প্রকল্পের আওতায় পতাকার দণ্ড কেনা-সহ আলো এবং সাজসজ্জার ব্যবস্থায় স্টেশন পিছু ৯ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার কথা। এই খরচকে স্টেশন উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হচ্ছে। তবে অনেকের প্রশ্ন, জাতীয় পতাকা তুললেই কি স্টেশনের উন্নয়ন হয়? সংসদের রেল বিষয়ক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার কথায়, ‘‘যাত্রীদের সুরক্ষা এবং রেলের সময়ানুবর্তিতা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। জাতীয় পতাকা তোলা হোক। কিন্তু যে সব কাজ সময় বেঁধে হওয়া উচিত, সেগুলোও করা হোক।’’ এ রাজ্যে চারটি এ -১ শ্রেণির স্টেশন রয়েছে— হাওড়া, শিয়ালদহ, নিউ জলপাইগুড়ি এবং খড়গপুর। চারটি স্টেশনেই পতাকা তোলার কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে জানা গিয়ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন