রাজনীতিতে দলাইকে কাজে লাগাচ্ছে দিল্লি: চিন

দলাই লামার গতিবিধি নিয়ে এ বার সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসল বেজিং! তাদের দাবি, পূর্বসূরিদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে মোদী এখন দলাই লামাকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে সে কারণেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৩
Share:

স্বাগত: অরুণাচলের বমডিলায় দলাই লামা। ছবি: পিটিআই।

দলাই লামার গতিবিধি নিয়ে এ বার সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসল বেজিং! তাদের দাবি, পূর্বসূরিদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে মোদী এখন দলাই লামাকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে সে কারণেই।

Advertisement

চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং আজ ফের দলাই লামার ন’দিনের অরুণাচল সফর নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি মোদীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন। এ দিন যার জবাব দিয়েছেন দলাই লামা নিজেই। অরুণাচলের বমডিলায় তিনি প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন, ভারত কখনওই তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেনি। এরই সঙ্গে ভারতে আশ্রিত তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণা, চিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়, চিনের মধ্যে থেকেই তিব্বতের রাজনৈতিক স্বশাসন চান তিনি। অরুণাচল প্রদেশে গিয়ে ‘তিব্বতি ধর্মগুরু’-র এই রাজনৈতিক বক্তব্যকে অর্থবহ বলেই মনে করছেন কূটনীতির লোকজন।

দলাই লামার সফরকে গত কালও ‘ধর্মীয়’ আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। আজও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, দলাই লামা এক জন ধর্মগুরু। আগেও তিনি অরুণাচলে গিয়েছেন। তাঁর ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজকর্মে এবং ভারতের একটি রাজ্যে তাঁর সফরকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা ঠিক নয়। এর জবাবে চিনা মুখপাত্র স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, দলাই লামাকে তাঁরা নিছক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব মনে করেন না। পরে আরও এক ধাপ এগিয়ে চিনা মুখপাত্র চুনয়িং অভিযোগ করেন, ভারত সরকার চিনের বিরুদ্ধে দলাই লামাকে ব্যবহার করতে চাইছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে চিনা বিদেশ মন্ত্রকও তাঁদের ক্ষোভ জানিয়েছে। চিনের বক্তব্য, এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হবে। ভারতকে সতর্ক করে তাদের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থ ও সংহতি রক্ষায় বেজিং বদ্ধপরিকর। সে জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতেও চিন দ্বিধা করবে না। চিনের সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, পূর্বসূরিদের পথ ছেড়ে মোদী দলাই লামাকে সামনে রেখে ভিন্ন পথে হাঁটছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাহুল-সীতারামের বৈঠক ঘিরে জল্পনা

বমডিলায় দলাই লামা বলেছেন, ‘‘তিব্বত ভৌগোলিক ভাবে চিনের ভিতরে হলেও রাজনৈতিক ভাবে সর্বদাই স্বাধীন ছিল। এখন আমরা সম্মানজনক স্বশাসন চাই।’’ তাঁর বক্তব্য, তিব্বত পিছিয়ে থাকা দেশ। পার্থিব বিকাশের দিক থেকে আমরা চিনে থাকতে রাজি। চিনেরও উচিত সম্মানজনক শর্তে আমাদের স্বশাসন দেওয়া।’’ এ দিনই আবার ‘এক চিন’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে অরুণাচলের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু মন্তব্য করেছেন, তাঁদের রাজ্যটি তিব্বতের লাগোয়া। চিনের সীমান্তে নয়। তবে কি সত্যিই অবস্থান বদলে ফেলল দিল্লি! বিদেশ মন্ত্রক নীরব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন