দক্ষিণ চিন সাগর বিতর্কে আমেরিকার পাশে দাঁড়ানো বন্ধ করতে ভারতকে বার্তা দিল চিন। দিল্লিকে পাঠানো গোপন বার্তায় চিন জানিয়েছে, চিন সাগর নিয়ে ভারতের সঙ্গে সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো যেতে পারে।
দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে স্বীকৃত ছিল দক্ষিণ চিন সাগর। কিন্তু হঠাৎই সেই সাগরের সিংহভাগকে নিজেদের জলসীমার অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে চিন। দখলদারি সুনিশ্চিত করতে ওই সাগরের বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে তারা। আমেরিকা-সহ বেশ কিছু দেশ চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়। ফিলিপিন্স, ভিয়েতনামের মতো দেশের পাশাপাশি বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, এ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারত। ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরামর্শ করে দক্ষিণ চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে টহলদারির জন্য চারটি যুদ্ধজাহাজও পাঠিয়েছে দিল্লি। ফলে বেজায় চটেছে বেজিং।
দক্ষিণ চিন সাগরের মালিকানা নিয়ে হেগ-এ রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে মামলা হয়েছে। ১২ জুলাই সেই মামলার রায় প্রকাশের কথা। তার আগে প্রবল চাপে রয়েছে চিন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, তার আগে দিল্লিকে গোপন বার্তা পাঠিয়েছে বেজিং। তাতে বলা হয়েছে, আমেরিকার তাঁবেদারি না করে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সরাসরি আলোচনা করুক ভারত। বেজিং এও মনে করিয়ে দিয়েছে, ভারতের কৌশলগত স্বার্থ সংক্রান্ত ‘অনেক বিষয়’ নিয়ে সিদ্ধান্ত তাদের মতের উপরে নির্ভরশীল।
সম্প্রতি পারমাণবিক সামগ্রী সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ভারতের ঢোকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল চিন। সাউথ ব্লক সূত্রের মতে, চিন সাগরে আমেরিকার হাত ছাড়লে এনএসজি-তে সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে চিন। তবে তা দিল্লির কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে
প্রশ্ন রয়েছেই।