Community Transmission

গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেনি, আশ্বাস কেন্দ্রের 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘স্টেজ থ্রি’ শুরু হলে সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ২০:১৪
Share:

চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং। —ফাইল চিত্র।

দিল্লি এবং মুম্বইয়ে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও কেন্দ্রের আশ্বাস, এখনও ভারতে অতিমারি করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। পাশাপাশি, লকডাউনের ‘সাফল্য’ সামনে এনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অন মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর বক্তব্য, দেশের ৮৩টি জেলার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ মানুষের উপর কোভিড-১৯ থাবা বসাতে পেরেছে।

Advertisement

আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গভ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে করোনা সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করে জানান, এক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘স্টেজ থ্রি’ অর্থাৎ ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ সংজ্ঞাটির ব্যবহার নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) সেটিকে মান্যতা দেয়নি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশে করোনার প্রভাব খুবই সীমাবদ্ধ। ১ শতাংশেরও কম।

শহুরে জনসংখ্যার ক্ষেত্রে এক শতাংশের সামান্য বেশি। কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে একটু বেশি। নিশ্চিত ভাবেই আমরা গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে নেই। ওটা শুধুই একটা পরিভাষা। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন অবশ্য চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করেন, ‘‘দিল্লিতে করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: একটার পর একটা দেহ উঠছে পুরসভার গাড়িতে, ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক

সেই সঙ্গেই তাঁর এই দাবি নরেন্দ্র মোদী সরকার মানবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে ‘আম আদমি পার্টি’র নেতা সত্যেন্দ্র বলেছিলেন,"আমরা সরকারি ভাবে এ ক্ষেত্রে কোনও পরিভাষা ব্যবহার করব না। কেন্দ্র এই গোষ্ঠী সংক্রমণকে কোন পরিভাষায় চিহ্নিত করবে, সেটা তাদের বিষয়।"

দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এদিন ৩২ হাজার ছুঁতে চলেছে। অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের আশঙ্কা, বর্তমান বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আগামী ৩১ জুলাই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষে পৌঁছবে। অন্যদিকে, মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। ধরাভি-সহ কয়েকটি অঞ্চলে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহলের অনেকেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৯৮।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘স্টেজ থ্রি’ শুরু হলে সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভাগর্ভের দাবি, এখনও তেমন পরিস্থিতি হয়নি। পাশাপাশি, করোনা রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি স্পষ্ট করেছেন, বতর্মান পরিস্থিতিতে সোয়াব পরীক্ষা, সংক্রমণের উৎস খুঁজে বার করা ও চিহ্নিত করা, কোয়ারান্টিন এবং কন্টেনমেন্ট জোনে নজরদারির মাধ্যমেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভরসা রাখছে সরকার।

আরও পড়ুন: আমার বিশ্বাস, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, "এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আমরা কিছু সাফল্য পেয়েছি। তাই আপাতত সেই পথ থেকে সরে আসছি না।" দেশে ৫০ লক্ষ নমুনা পরীক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা কয়েক দিন আগেই ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, "এখন আমরা প্রতিদিন দেড় লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করছি। গতকালও করেছি। দিনে দু’লক্ষ নমুনা পরীক্ষার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন