অভিনন্দন বর্তমান। বায়ুসেনার এই অফিসারই বন্দি হয়েছেন পাকিস্তানের হাতে। তাঁর বাবা প্রাক্তন এয়ার মার্শাল সিম্হাকুট্টি বর্তমান। এই সিম্হাকুট্টিই মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানকে উন্নত করে কার্গিল যুদ্ধে দেশের বাহবা পেয়েছিলেন। তাঁর ছেলেই অভিনন্দন।
পাকিস্তানের প্রকাশ করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মিগ ২১ থেকে ‘ইজেক্ট’ হওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় দৃঢ়তার সঙ্গে এই অফিসার জেনেভা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে সার্ভিস নম্বর ও পদমর্যাদা ছাড়া আর কিছু বলতে চাননি। তা দেখে গোটা দেশ শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছে। যে অভিনন্দনের জন্য দেশবাসী প্রার্থনা করছেন প্রতিটি মুহূর্তে, এ বার তাঁর কথা জেনে নেওয়া যাক।
২০০৪ সালে বায়ুসেনা বাহিনীতে যোগদান করেন অভিনন্দন।
উইং কমান্ডার অভিনন্দন চেন্নাইয়ের জলবায়ু বিহারের বাসিন্দা। কাঞ্চিপুরমের তিরুপানামুর গ্রামে তাঁর আদি বাড়ি।
ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অভিনন্দন।
বর্তমানে পাক হেফাজতে থাকা অভিনন্দনের ‘দ্রুত ও নিরাপদ মুক্তি’র জন্য ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে সাউথ ব্লক। একই সঙ্গে জেনেভা চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে অভিনন্দনকে নির্যাতন করা নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে পাকিস্তানকে।
নয়াদিল্লির দাবি, পাকিস্তানের একটি বিমানকে (এফ-১৬) গুলি করে নামিয়েছে ভারতের মিগ-২১ (বাইসন)। পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে গানডাউন করার সময় ‘মিসিং ইন অ্যাকশন’ হয়েছেন মিগ ২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চালক, জানায় বিদেশমন্ত্রক। রক্তাক্ত অভিনন্দনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে পাকিস্তান। (প্রতীকী ছবি)
এক সময় সুখোই বিমানের চালক ছিলেন অভিনন্দন। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার হিসেবেও পরিচিত এই উইং কমান্ডার।
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহাও জানিয়েছেন, দক্ষ অফিসারদের অন্যতম অভিনন্দন তাঁর সন্তানসম। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অভিনন্দনের বাবাও কিন্তু অত্যন্ত দক্ষ অফিসার ছিলেন।
১৯৯৯ সালে অভিনন্দনের বাবার নির্দেশেই গ্বালিয়র এয়ারবেসে মিরাজ ২০০০ আধুনিকীকরণের কাজ হয়। গ্বালিয়রে তখন চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন সিম্হাকুট্টি। ছেলেকেও একইরকম ভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।
বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন অভিনন্দন। অভিনন্দনের স্ত্রী তনভি মারওয়াহা ও বায়ুসেনা আধিকারিক ছিলেন। তিনি বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। ১৫ বছর কাজ করার পর অবসর নিয়েছেন। হেলিকপ্টার চালক হিসেবে তনভি কাজ করতেন অবসরের সময়ে। আইআইএম আমদাবাদ থেকে পড়াশোনা করেছেন তনভি।