আমির সিদ্দিকি।
এই প্রথম কোনও পাক কূটনীতিকের নাম ঢুকে পড়ল ভারেতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)-র দাবি, কাজের সুবাদে শ্রীলঙ্কায় থাকার সময় আমির জুবেইর সিদ্দিকি নামের ওই পাক কূটনীতিক ২৬/১১-র ধাঁচে ভারতের বিভিন্ন শহরে হামলার ছক করেছিলেন। তাঁর নিশানায় ছিল সামরিক ছাউনি, পরমাণু কেন্দ্র, মার্কিন ও ইজরায়েলের দূতাবাস।
এমনিতেই কূটনীতিকদের উপর হেনস্থার অভিযোগ তুলে ভারত এবং পাকিস্তান একে অন্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তার উপর পাক কূটনীতিকের নাম ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় উঠে আসায় দু’দেশের মধ্যে চাপানউতোর আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমিরের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ।
তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালে কলম্বোয় পাক হাইকমিশনে ভিসা কাউন্সিলর পদে থাকার সময় ভারতে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন আমির জুবেইর সিদ্দিকি। কিন্তু কী করে তা জানতে পারল এনএআই? জানা গিয়েছে চর সন্দেহে ২০১৩ সালে জাকির হুসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তামিলনাড়ুর পুলিশ। এর পর কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেন কাল কেউটে বেরনোর দশা। জেরার মুখে জাকির জানিয়েছিলেন, আমিরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। দু’জনের মধ্যে বেশ কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। জাকিরের দাবি, তাঁর কাছ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে খোঁজ নিতেন আমির। দুই পাক নাগরিরক যাতে জাল নথিপত্র নিয়ে ভারতে ঢুকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য আমির তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও জাকির দাবি করছেন।
আরও পড়ুন: নিজেদের আসনও রক্ষা করতে পারবেন না রাহুল-সনিয়া, তোপ বিজেপির
আরও পড়ুন: সীমান্তে আবার সংঘাতে জড়াল ভারত ও চিন
তদন্তে জানা গিযেছে, চেন্নাইয়ে মার্কিন দূতাবাস, বেঙ্গালুরুর ইজরায়েলি দূতাবাস, বিশাখাপত্তনমে ন্যাভাল কম্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার সদর দফতরকে নিশানা করতে চেয়েছিলেন পাক কুটনীতিক আমির সিদ্দিকি। পাশাপাশি টার্গেট ছিল দেশের বেশ কয়েকটি পরমাণু কেন্দ্র। এনআইএ জানতে পেরেছে, রেইকি করার জন্য চেন্নাই, মুম্বই এবং কলকাতায় এসেছিলেন আমির। তবে কুটনীতিকের পাসপোর্ট নিয়ে নয়। তিনি এসেছিলেন সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে।