উত্তপ্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীর। ছবি: রয়টার্স।
‘মৌলিক অধিকারের’ দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় সোমবার সকাল থেকে অশান্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীর। পুলিশ এবং পাক সেনার সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অশান্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় এ বার সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করল ভারত সরকার। শুধু তা-ই নয়, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ভারতের আবেদন, তারা যেন পাকিস্তানের কাছে এ ব্যাপারে জবাবদিহি চায়!
সোমবার থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর অশান্ত হলে এই বিষয়ে ভারত কোনও মন্তব্য করেনি। তবে শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ঘটা ঘটনাকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিক্ষোভের খবরের উপর আমরা নজর রাখছি। অশান্তির ফলে বেসামরিক নাগরিকদের উপর পাকিস্তানি বাহিনী বর্বর অত্যাচার চালায়। আমরা বিশ্বাস করি যে, এটি পাকিস্তানের নিপীড়নমূল মনোভাব। পাক সরকার জোরপূর্বক এবং অবৈধ ভাবে ওই এলাকা দখল করে রেখেছে। এই ঘটনায় পাকিস্তান মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এর জন্য পাকিস্তানই দায়বদ্ধ। জবাবদিহি করতে হবে।’’
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য লড়াই করতে থাকা বিভিন্ন সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে গড়ে ওঠা আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (এএসি)-র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নানা জায়গা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। শাহবাজ় শরিফ সরকারের বিরোধিতায় স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা সেনা-আধাসেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে প্রশাসন। চলে গোলাগুলিও। অভিযোগ, সেই গোলাগুলিতে কয়েক জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়।
গত কয়েক দিন ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়। সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর আবেদন, সরকার সব দাবি বিবেচনা করে দেখবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট আংশিক ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।