Dam

বাঁধের জবাবে বাঁধ!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাঁধ মোকাবিলায় পাল্টা বাঁধ! অরুণাচলের ও-পারে চিনের তিব্বত অংশে ব্রহ্মপুত্রের মূল উৎস ইয়ারলুং সাংপোর উপরে বাঁধ তৈরি করবে চিন। এর প্রভাব কাটাতে অরুণাচলে সিয়াংয়ের উপরে বড় বাঁধ গড়ার কথা ভাবছে ভারত। যদিও বিদেশনীতির অস্ত্র হিসেবে অরুণাচলে বড় বাঁধ গড়া কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বড় বাঁধ গড়তে বিপুল অরণ্য ধ্বংস হয়। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।

Advertisement

চিনের গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ইয়ারলুং সাংপোর উপরে প্রায় ৬০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ তৈরি করা যায় এমন বাঁধ গড়া হবে। চিনের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং, পরিবেশ গবেষক নীরজ ভাগোলিকর, পরিবেশকর্মী জারজুম গামলিন এতে, ফোরাম ফর সিয়াং ডায়লগ-সহ অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সিয়াংয়ের উৎসে এত বড় বাঁধ গড়লে অরুণাচলের সিয়াং উপত্যকা ও অসমের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় তার প্রভাব পড়বেই। জল শক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, অরুণাচলে ১০ হাজার মেগাওয়াটের বহুমুখী জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। যা চিনা বাঁধের প্রভাবকে মোকাবিলা করবে। আপার সিয়াংয়ে এই প্রকল্প অতিরিক্ত জলের ভার বহন করবে ও জলের ঘাটতি হলে সঞ্চিত জল দিয়ে তা সামলাবে। মন্ত্রকে ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদী বিষয়ক কমিশনার টি এস মেহরা জানান, ব্রহ্মপুত্রের ৯০ শতাংশ জলই আসে ভারতের ভিতরের বিভিন্ন উপনদী থেকে। শুধু শীতকালে তিব্বতের হিমবাহের উৎস থেকে জল পায় সিয়াং। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর মতে, চিন যা-ই করুক, নামনি সিয়াংয়ের অংশে যাতে নিরাপত্তা ও ভারসাম্য নষ্ট না হয়, সে দিকে নজর রাখা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন