Weather Alert

শতাব্দীর উষ্ণতম অক্টোবরের সাক্ষী দেশবাসী! নভেম্বরে দেশে শীতের দেখা মিলবে না, জানাল মৌসম ভবন

এক শতাব্দীরও বেশি সময়ে অক্টোবর মাসে এতটা গরম পড়েনি ভারতে। ১৯০১ সালের পর থেকে এটিই ছিল ভারতের উষ্ণতম অক্টোবর। নভেম্বরকেও শীতের মাস বলে বিবেচনা করছে না মৌসম ভবন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৬
Share:

২০২৪ সালে শতাব্দীর উষ্ণতম অক্টোবর মাসের সাক্ষী থাকল ভারত। —ফাইল চিত্র।

সাধারণত দীপাবলির সময় কিংবা তার কিছু দিন পর থেকেই দেশের সর্বত্র হালকা শীত শীত অনুভূতি দস্তুর। তবে এ বার তেমন সম্ভাবনা খুব একটা নেই। বরং মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, নভেম্বর মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গরমের অনুভূতি তুলনামূলক ভাবে বেশিই থাকতে পারে। অক্টোবর মাসেও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিই ছিল তাপমাত্রা। গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ে অক্টোবর মাসে এতটা গরম পড়েনি ভারতে। ১৯০১ সালের পর থেকে এটিই ছিল ভারতের উষ্ণতম অক্টোবর। দেশের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১.২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

Advertisement

তুলনামূলক ভাবে উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য মূলত দু’টি কারণের কথা জানিয়েছেন মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। প্রথমত, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার অনুপস্থিতি। দ্বিতীয়ত, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় নিম্নচাপগুলির কারণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস প্রবেশ করেছে। এই দুইয়ের কারণে অক্টোবর মাসে দেশে গড় তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ২৬.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা ১৯০১ সালের পর থেকে অক্টোবর মাসে দেশের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা। ওই বছরের অক্টোবরে দেশের গড় তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অক্টোবরে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ছিল ২১.৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২০.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা কমার জন্য উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতাস প্রবেশ করা প্রয়োজন। যা এখনই হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই অঞ্চল থেকে বর্ষা এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। সেই কারণেও তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে পারছে না। ফলে আরও অন্তত দু’সপ্তাহ উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। তার পরে ধীরে ধীরে কমে স্বাভাবিকের দিকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের।

Advertisement

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয়ের মতে, নভেম্বরকে শীতের মাস হিসাবে দেখছে না মৌসম ভবন। মূলত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিকেই শীতের মাস হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিসেম্বরে হালকা শীতের অনুভূতি মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের এই পরিস্থিতির কারণেই দেশের সর্বত্র গড় তাপমাত্রার উপর প্রভাব পড়তে চলেছে। তবে বাংলা-সহ বেশ কিছু জায়গায় নভেম্বর থেকেই শীতের আমেজ অনুভব করা যাবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী চার দিনে দক্ষিণবঙ্গে, বিশেষত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে। তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতেও। সে ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা কমলে শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বাংলায় এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। তাতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement