Jammu and Kashmir

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান-চিনের যৌথ বিবৃতি খারিজ ভারতের

শুধু এই মন্তব্যে বিরোধিতাই নয়, রবীশ কুমারের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের’ প্রসঙ্গও। রবীশের দাবি, এই করিডর আসলে ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ। ১৯৪৭ সাল থেকে এই ভূখণ্ড অবৈধ ভাবে দখল খরে রয়েছে পাকিস্তান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১৩
Share:

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার পাকিস্তান-চিনের যৌথ বিবৃতির বিরোধিতা করেন।

‘জম্মু-কাশ্মীরকে ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে রবিবার জারি হওয়া পাকিস্তান ও চিনের এই যুগ্ম বিবৃতিকে মঙ্গলবার প্রত্যাখ্যান করল ভারত।

Advertisement

চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াই ই-র দুই দিনের পাক সফর শেষে এক যৌথ বিবৃতি জারি করা হয় পাকিস্তান ও চিনের পক্ষ থেকে। এই বিবৃতিতে বলা হয়,কাশ্মীরকে ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর সমস্যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বিবেচনা করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা উচিত। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার এই বিবৃতির বিরোধিতা করে পরিষ্কার বলেন, ‘‘এই বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ অবান্তর। আমরা এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছি। জম্মু-কাশ্মীর প্রশ্নাতীত ভাবে ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ।’’

শুধু এই মন্তব্যে বিরোধিতাই নয়, রবীশ কুমারের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের’ প্রসঙ্গও। রবীশের দাবি, এই করিডর আসলে ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ। ১৯৪৭ সাল থেকে এই ভূখণ্ড অবৈধ ভাবে দখল খরে রয়েছে পাকিস্তান।

Advertisement

৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছেন পাকিস্তান ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসরিয়াকে ফেরত পাঠিয়েছে, ছিন্ন করেছে সমস্ত বাণিজ্যিক যোগাযোগ। এখানেই শেষ নয় চিনের সঙ্গে একযোগে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টাও করা হয়েছে ইসলামাবাদের তরফে। তবে সেখানে খুব একটা সুবিধে আদায় করতে পারেনি তারা। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে রাজি হয়নি কোনও পক্ষই। তবে এই আবহেই বেজিং-ইসলামাবাদের সখ্য ক্রমেই নতুন মাত্রা নিয়েছে।

আরও পড়ুন:‘নাটক না করে হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান’
আরও পড়ুন:ভাং বিক্রিতে বিশ্বে দিল্লি ৩ নম্বরে, মেলে সবচেয়ে কম দামে, জানাল সমীক্ষা

চিনের বিদেশমন্ত্রীর সফরের পরে জোর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নে। পাকিস্তানের তরফে কাশ্মীর বিষয়ে তাদের মতামত জানানো হয় চিনের বিদেশমন্ত্রীকে। পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যাকে ‘জরুরিকালীন মানবিক সমস্যা’ হিসেবে তুলে ধরে চিনের কাছে। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই চিনের তরফে বলা হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে কাশ্মীর বিষয়ে কথা বলা উচিত দু’পক্ষের।

দিন কয়েক আগেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছে বিদেশমন্ত্রক। তাঁর অভিযোগ ছিল, ক্রমাগত উস্কানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন পাক নেতারা। বিশ্ববাসীর কাছে জম্মু-কাশ্মীরের ভুল ও বিকৃত ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এ দিনের যৌথ বিবৃতি নিয়েও সেই কড়া মনোভাব বজায় রাখল বিদেশমন্ত্রক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন