Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

ভাং বিক্রিতে বিশ্বে দিল্লি ৩ নম্বরে, মেলে সবচেয়ে কম দামে, জানাল সমীক্ষা

২০১৮ সালে কী পরিমাণে আর কত দামে ভাং বিক্রি হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, তা বুঝতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা ‘এবিসিডি’। তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘২০১৮ ক্যানাবিস প্রাইস ইনডেক্স’ নামে।

ভাং গাছ। -ফাইল ছবি

ভাং গাছ। -ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:৫১
Share: Save:

রাজনীতির ‘আফিমে’ বুঁদ হয়ে থাকা আর গোটা দেশকে বুঁদ করে রাখার জন্য যার নামডাক, ভাং-এর নেশায় মজে থাকার ব্যাপারেও সেই দিল্লির জুড়ি মেলা ভার। এ দেশে আর কোনও শহর তো তাকে টেক্কা দিতে পারেইনি, ভাং খাওয়ার দৌড়ে বিশ্বে নিউইয়র্ক ও করাচির পর আর পিছিয়েও থাকতে রাজি হয়নি আমাদের রাজধানী শহর। দিল্লিতে শুধু যে ভাং-এর ঢালাও বিক্রিই হয়, তা নয়; বিশ্বের প্রথম দশটি শহরের মধ্যে ভাং সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যায় দিল্লিতেই। দিল্লিতে গত বছর ভাং বিকিয়েছে গ্রাম-পিছু মাত্র ৩১৫ টাকায়। একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা এই খবর দিয়েছে।

২০১৮ সালে কী পরিমাণে আর কত দামে ভাং বিক্রি হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, তা বুঝতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা ‘এবিসিডি’। তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘২০১৮ ক্যানাবিস প্রাইস ইনডেক্স’ নামে। সেই তালিকায় শীর্ষে থাকা যে দশটি শহরের নাম রয়েছে, তাতে দিল্লির স্থান তিন নম্বরে। তার আগে রয়েছে শুধুই নিউইয়র্ক আর করাচি। তালিকায় রয়েছে ভারতের আরও একটি শহর। মুম্বই। ৬ নম্বরে। ফলে, এ ব্যাপারে বিশ্বের প্রথম দশটি শহরের মধ্যে দু’টিই ভারতের।

সমীক্ষা জানিয়েছে, গত বছরে দিল্লিতে বিক্রি হয়েছে মোট ৩৮.২৬ মেট্রিক টন (৩৮ হাজার ২৬০ কিলোগ্রাম) ভাং। আর মুম্বইয়ে ওই বছরে বিক্রি হয়েছে ৩২.৩৮ টন (৩২ হাজার ৩৮০ কিলোগ্রাম)। দিল্লিকে টেক্কা দিয়েছে শুধুই আমেরিকার নিউইয়র্ক আর পাকিস্তানের করাচি।

আরও পড়ুন- রোজ খুন হচ্ছেন হিন্দু-শিখরা, অভিযোগ ইমরান খানের দলের প্রাক্তন এমএলএ-র​

আরও পড়ুন- পুলিশ আসার আগেই পাখি উড়ে যায়​

প্রশ্ন উঠেছে, দেশের বাঘা বাঘা সব রাজনীতিকের নাকের ডগায় কী ভাবে এত সস্তায়, এই পরিমাণে ভাং বিক্রি হচ্ছে, অনায়াসে? কেন কেউ বাধা দিচ্ছেন না?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ব্যাপারে ভারতে আইনটির মধ্যে কিছুটা অস্বচ্ছ্বতা রয়েছে। ভারতে ভাং বলতে দু’টি জিনিসকে বোঝানো হয়। একটি ভাং গাছ। অন্যটি ‘হেম্প’ বা চরস। হাসিসের তেল বা তরল হাসিসও বেরয় ভাং গাছ থেকে। ১৯৮৫ সালের ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট’ ভাং-এর উৎপাদন ও বিক্রিকে নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু গাঁজা ও চরসের উৎপাদন ও বিক্রিকে নিষিদ্ধ করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE