নিজস্ব চিত্র।
রাস্তাঘাট বা রেলের ট্র্যাক, যে কোনও জায়গা থেকেই উৎক্ষেপণ করলে অত্যন্ত নিঁখুত ভাবে প্রতিপক্ষের উপর আঘাত হানতে পারে, এমনই একটি ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত। নাম ‘অগ্নি প্রাইম’। ভারতের অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র পরিবারের এই নয়া সদস্য বাকি মিসাইলগুলির চেয়ে অনেক উন্নত মানের সোমবার সকাল ১০টা বেজে ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার উপকূলে বালেশ্বরের কাছে এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ছোড়া হয়েছিল এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। নির্ভুল লক্ষ্যে নিঁখুত ভাবে আঘাত হেনেছে ‘অগ্নি-পি’, বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
ভারী জ্বালানি নির্ভর অগ্নি-পি ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে দুই-স্তরীয় ব্যবস্থা। এই ধরনের মডেলে সিলিন্ডারের মতো দেখতে একটি পাত্রে রাখা থাকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি। প্রয়োজন মতো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে যাতে দ্রুত নিয়ে গিয়ে উৎক্ষেপণ করা যায়, সেই কারণেই এই ক্যানিস্টার-মডেলে তৈরি করা হয়েছে ‘অগ্নি-পি’।
১ হাজার থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম তুলনামূলক ছোট এবং হাল্কা পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত যৌগিক পদার্থের (ভৌত এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত দু’টি ভিন্ন পদার্থের মিশ্রণে যে পদার্থ তৈরি হয়) দিয়ে এই মিসাইল তৈরি হওয়ায় তার ওজন অগ্নি সিরিজের বাকি অস্ত্রের চেয়ে অনেকটাই কম। ৪ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি-৪ এবং ৫ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ‘অগ্নি-পি’ ক্ষেপণাস্ত্রে, জানিয়েছে ডিআরডিও।