ভারতীয় সেনার পদাতিক ব্যাটালিয়ন। —ফাইল চিত্র।
সীমান্তে শত্রুর আক্রমণ ঠেকানো এবং ঝটিতি প্রত্যাঘাতের দক্ষতা বাড়াতে এ বার রণকৌশল বদলাচ্ছে ভারতীয় সেনা। তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পালটে ফেলা হচ্ছে পদাতিক (ইনফ্যান্ট্রি) ব্যাটালিয়নগুলির খোলনলচে। বাহিনীর গঠনে পরিবর্তনের পাশাপাশি বদল আসছে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামেও।
সেনা সূত্রের খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৩৮২টি পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে ভৈরব কমান্ডো বাহিনী এবং অশ্বিনী ড্রোন প্লাটুনের একটি করে ইউনিট। ‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পাকিস্তান এবং চিন সীমান্তকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে ভৈরব কমান্ডো ব্যাটালিয়ন তৈরি করছে ভারতীয় সেনা। প্রাথমিক ভাবে পাঁচটি ব্যাটালিয়ন গড়া হচ্ছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে থাকবেন ২৫০ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা।
সেনার পদাতিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় কুমার বুধাবার জানিয়েছেন পদাতিক, সিগন্যাল এবং আকাশ প্রতিরক্ষা (এয়ার ডিফেন্স) ব্যাটালিয়নগুলির অফিসার ও জওয়ানদের আনা হচ্ছে নতুন কমান্ডো ব্যাটালিয়নগুলিতে। জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন সেনা ব্যাটালিয়নগুলির সঙ্গে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘ঘাতক’ বাহিনীকে জুড়ে পাক ফৌজের মোকাবিলায় নির্ণায়ক সাফল্য এসেছে ইতিমধ্যেই। সেই লক্ষ্যেই এ বার এমন পরিবর্তন।
পদাতিক বাহিনীর অস্ত্রসম্ভারে সাবেকি অ্যাসল্ট রাইফেল, হালকা মেশিনগান ও মর্টারের পাশাপাশি এ বার যুক্ত হচ্ছে রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ভারী মেশিনগান। পুরনো রেডিয়ো তরঙ্গের বদলে আসছে আধুনিক সফ্টঅয়্যার সম্বলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ ছাড়া সীমান্তে নজরদারি, শত্রুসেনার হামলা প্রতিরোধ এবং পাল্টা হামলা চালানোর দক্ষতা অর্জন করতে প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে ‘অশ্বিনী’ ড্রোন বাহিনীর একটি করে প্ল্যাটুন।