পাকিস্তানে হেনস্থা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে

জন্মদিনে গুরুদ্বারে যাবেন বলে আগাম অনুমতি চেয়ে রেখেছিলেন প্রশাসনের কাছে। সঙ্গে ছিল জরুরি সব কাগজপত্রও। তবু গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হল না পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

অজয় বিসারিয়া

জন্মদিনে গুরুদ্বারে যাবেন বলে আগাম অনুমতি চেয়ে রেখেছিলেন প্রশাসনের কাছে। সঙ্গে ছিল জরুরি সব কাগজপত্রও। তবু গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হল না পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে। চলতি বছরে এ নিয়ে দু’বার এই ধরনের কূটনৈতিক হেনস্থার মুখে পড়তে হল বিসারিয়াকে।

Advertisement

গত কাল জন্মদিন ছিল বিসারিয়ার। স্ত্রীর সঙ্গে তাই হাসান আবদালের পাঞ্জা সাহিব গুরুদ্বারে যাবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো আগাম অনুমোদনও নিয়ে রাখা হয়। কিন্তু অভিযোগ, ইসলামাবাদ থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরের ওই গুরুদ্বারের সামনে গত কাল বিসারিয়াদের গাড়ি পৌঁছনোর পরে তাঁদের পত্রপাঠ ফেরত পাঠানো হয়। গুরুদ্বারে ঢোকা তো হয়ইনি, গাড়ি থেকে নামতেও দেওয়া হয়নি বিসারিয়া আর তাঁর স্ত্রীকে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই পাক বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে খবর। তবে সরকারি ভাবে সাউথ ব্লকের তরফে এ নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। বিসারিয়া নিজেও সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলেননি।

ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল মাস দু’য়েক আগে। বৈশাখী উপলক্ষে পঞ্জাবের এক দল পুণ্যার্থী পাঞ্জা সাহিব গুরুদ্বার দর্শনে গিয়েছিলেন। কূটনৈতিক প্রোটোকল অনুযায়ী, ভারতীয় কনসাল জেনারেল এবং হাই কমিশন-এর আধিকারিকদের ওই পুণ্যার্থীদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু গত ১২ এপ্রিল ওয়াগা সীমান্তে পূণ্যার্থী দলের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর ঠিক দু’দিনের মাথায়, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল এই পাঞ্জা সাহিব গুরুদ্বারেরই ‘ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড’-এর চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণ পেয়েও সেখানে ঢুকতে পারেননি ভারতীয় হাই কমিশনার বিসারিয়া। ইসলামাবাদ যদিও সেই সময়েই জানিয়েছিল, নিরাপত্তার কারণেই না কি বিসারিয়াকে গুরুদ্বারে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

এপ্রিলের ঘটনাটি নিয়ে অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। আজই ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার সইদ হায়দার শাহকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, পুণ্যার্থীদের সঙ্গে ভারতীয় আধিকারিকদের দেখা করতে না দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত ভিয়েনা চুক্তি ১৯৬১-র ধারা লঙ্ঘন করেছে পাক সরকার। সেই সঙ্গেই লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৪-এর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাতের দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকল-ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন