সন্তানহারা সাত মা। নিজস্ব চিত্র
বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়তের ডাকা ‘বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্ট চলো’-য় সাড়া না দিতে কাশ্মীরের মানুষকে অনুরোধ করল সেনা। অন্য দিকে কাশ্মীরে সাত নিরীহের মৃত্যু নিয়ে ভারতকে নিশানা করল পাকিস্তান।
গত কাল পুলওয়ামায় বাহিনীর গুলিতে সাত জন নিরীহের মৃত্যুর প্রতিবাদে আগামিকাল সেনার বাদামিবাগ ঘাঁটির দিকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। আজ সেনা মুখপাত্র বলেন, ‘‘কাশ্মীরের মানুষকে ফের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা হচ্ছে। যে জঙ্গিরা সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তারা নিরীহ কাশ্মীরি ও পুলিশকর্মীদের হত্যায় জড়িত ছিল।’’ সেনা মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘নিরীহ মানুষের প্রাণরক্ষার জন্য সব রকম চেষ্টা করে বাহিনী। কিন্তু কিছু শক্তি কাশ্মীরি যুবকদের ক্রমাগত সংঘর্ষস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর প্ররোচনা দিয়ে চলেছে। বাদামিবাগ চলোর ডাকও সেই কৌশলেরই অঙ্গ।’’
আজ পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে ভারতের কড়া সমালোচনা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হিংসা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমরা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে সরব হব।’’
এ দিন পুলওয়ামার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক হন প্রাক্তন বিধায়ক শেখ আব্দুল রশিদ। সকালে সমর্থকদের নিয়ে শ্রীনগরের জওহরনগর এলাকা থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক দলের অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন তিনি। জিরো সেতুর কাছে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা হরতাল ও ‘বাদামিবাগ চলো’র জেরে গোলমালের আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাই পুলওয়ামা ও শ্রীনগরের কয়েকটি অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ শ্রীনগরে বন্ধ ছিল দোকানপাট, পেট্রল পাম্প। চলেনি সরকারি যানবাহনও।