—প্রতীকী চিত্র।
ধর্মীয় স্থানে নাশকতার ছক বানচাল করল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের দু’টি মডিউলের কাজ ফাঁস করেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, বোমা তৈরির উপকরণও। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ওই মডিউলগুলির সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ডিজিটাল যোগের প্রমাণ মিলেছে।
ঝাড়খণ্ড, তেলঙ্গানা, বেঙ্গালুরু, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে প্রথম মডিউলটির হদিস পায় দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। ওই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আশার দানিশ, আফতাব কুরেশি, সুফিয়ান খান, মহম্মদ হুজাইফ ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি— পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নাশকতাই ছিল ওই মডিউলের উদ্দেশ্য। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্থানে হামলার পরিকল্পনা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
পরে আরও একটি জঙ্গি মডিউলের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরে ওই জঙ্গি মডিউলের আস্তানা ছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সাম্প্রতিক সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে যেমন অস্ত্র এবং রাসয়নিক বোমা তৈরির উপকরণ মিলেছে, তেমনই পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথিও।
ডিজিটাল ডিভাইস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্ত সিরাজ এবং সমীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই করতেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এই মডিউলগুলি পরিচালিত হত পাকিস্তান থেকে! এমন নানা প্রমাণও মিলেছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।