প্রতীকী ছবি।
কখনও খাবারের মধ্যে পেরেক। কখনও পঁচা খাবার সার্ভ করার অভিযোগ। গত মঙ্গলবার হাওড়া থেকে দিল্লিগামী পূর্বা এক্সপ্রেসে বাতানুকূল প্রথম শ্রেণির কামরার এক যাত্রীর খাবারে টিকটিকি পাওয়া যায়।যা নিয়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। রেলের খাবার নিয়ে যাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ। আর এই পর্বতসম অভিযোগের মুখে পড়ে হাল ছেড়েছে রেল। এ বার রেলের প্যান্ট্রির উপর নির্ভর না করে রেলযাত্রীদের বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার আনার পরামর্শ দিলেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে মিত্তল।
তাঁর কথায়, ‘‘বাড়ির খাবারের কোনও বিকল্প নেই। তাই ট্রেনের খাবারের উপর ভরসা না করাই ভাল।’’ মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে যাঁরা টিকিট কাটছেন, তাঁদের কেন বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তাঁরা যাত্রীদের অসুবিধে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। প্রতিদিন গড়ে ১৫ লক্ষ যাত্রীকে খাবার পরিবেশন করাটা রেলের কাছে এই মুহূর্তে বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নোংরা বিতর্ক: নতুন ধরনের কম্বল আনছে রেল
এই সমস্যার সমাধানের জন্য রেল বেস কিচেন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী এ বছরের মধ্যে এই বেস কিচেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ঠিকঠাক খাবার পান, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।