ঘরে ফিরলেন উজমা আহমেদ। দিল্লির মেয়ে উজমা ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন তাহির আলি নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। তাহির তাঁকে জোর করে বিয়ে করেন। উজমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পাক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অবশ্য উজমা সুবিচারই পেয়েছেন। উজমা আহমেদকে পাকিস্তানের আদালত ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দেয়। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরেছেন। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজেই সে কথা টুইট করে জানিয়েছেন।
বুধবারই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট উজমাকে ভারতে ফেরার অনুমতি দেয়। এ দিন তিনি ভারতে ফেরার পর বিদেশ মন্ত্রী টুইট করে উজমাকে শুভেচ্ছা জানান। তবে উজমা নিজে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি। উজমার ভাই ওয়াসিম আহমেদ জানান, উজমা ফিরে আসায় আমরা অত্যন্ত খুশি। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে দেশে ফেরেন উজমা আহমেদ।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে খবরের শিরোনামে আসেন উজমা। নয়াদিল্লির বাসিন্দা উজমা গত ৭ মে ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসকে জানান, তাহির আলি নামে এক পাক যুবক তাঁকে জোর করে নিকাহনামায় সই করিয়েছেন। তাহির তাঁর পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও আটকে রেখেছেন বলে উজমা ভারতীয় দূতাবাসকে জানান। উজমা জানান, ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল তাহিরের সঙ্গে। তার থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সূত্রেই দিল্লি থেকে ইসলামাবাদ যাওয়া উজমার। কিন্তু ইসলামাবাদে তাহিরের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বন্দুকের মুখে পড়তে হবে এবং তাহিরকে বিয়ে করতে হবে, এমনটা উজমা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।
আরও পড়ুন...
উজমাকে ভারতে ফেরার অনুমতি দিয়ে দিল পাকিস্তানের হাইকোর্ট
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছয় বিষয়টি। বছর কুড়ির এই ভারতীয় তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার তাঁকে ভারতে ফেরার অনুমতি দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ফেরার সময় যাতে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রায় ঘোষণার পর উজমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাহির। কিন্তু, তাতে রাজি হননি ওই ভারতীয় তরুণী।