(বাঁ দিকে) রাজা রঘুবংশী। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে গত সোমবার। (ডান দিকে) রাজার স্ত্রী সোনম। তিনি এখনও নিখোঁজ। ছবি: সংগৃহীত।
নিখোঁজ হওয়ার আগে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী এবং সোনমের সঙ্গে আরও তিন পর্যটককে দেখা গিয়েছিল। তাঁরা সকলেই পুরুষ। সোনমের খোঁজে যখন জোর তল্লাশি চলছে, স্থানীয় এক টুর গাইড সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। পুলিশের কাছেও জবানবন্দি দিয়েছেন অ্যালবার্ট।
রাজা এবং সোনম শিলং থেকে স্কুটিতে মাওলাখিয়াত গ্রামে গিয়েছিলেন। সেই গ্রামেরই এক টুরিস্ট গাইড অ্যালবার্ট পে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ইনদওরের ওই নবদম্পতির মুখ ভাল ভাবে চিনে রেখেছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন তিনিই সোনমদের নোংরিয়াত ঘুরিয়ে দেখানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে দাবি অ্যালবার্টের। কিন্তু সোনমেরা অন্য এক গাইডের সঙ্গে যান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অ্যালবার্ট আরও জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন সোনমদের সঙ্গে আরও তিন পর্যটককে তিনি দেখেছেন। গত ২৩ মে সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা সকলে মিলে নোংরিয়াত থেকে মাওলাখিয়াতে যাচ্ছিলেন। অ্যালবার্টের দাবি, ‘‘চার জন পুরুষ পর্যটক আগে আগে যাচ্ছিলেন। পিছনে ছিলেন ওই মহিলা। চার জন পুরুষ পর্যটকই হিন্দিতে কথা বলছিলেন। আমি হিন্দি জানি না বলে ওঁদের কথা বুঝতে পারছিলাম না।’’ অ্যালবার্ট জানিয়েছেন, নোংরিয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২২ মে গাইড খুঁজতে এসেছিলেন ওই দম্পতি। তাঁরা ভা ওয়ানসাই নামে এক গাইডকে ভাড়া করেন। তার পর শিপারার একটি হোমস্টেতে রাত কাটান। ২৩ মে তিনি যখন মাওলিয়াখাতে যান, সেখানে ওই দম্পতির স্কুটি দেখতে পাননি বলে দাবি অ্যালবার্টের। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই নিখোঁজ হয়ে যান রাজা-সোনম। তাঁদের ভাড়া করা স্কুটিটি উদ্ধার হয় মাওয়াখিয়াতের পার্কিংয়ের জায়গা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে।
ওই তিন জন কি আদৌ কোনও পর্যটক ছিলেন, না কি অন্য কেউ? গাইড অ্যালবার্টের বয়ান অনুযায়ী ওই তিন পর্যটকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন ভা ওয়ানসাই নামে ওই গাইডও। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।