বি কে বিড়লা। (১৯২১-২০১৯)
প্রয়াত হলেন ভারতীয় শিল্পের অন্যতম ধারক ও বাহক বসন্ত কুমার বিড়লা। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতি হওয়ায় তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে এই শিল্পপতির বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।
বি কে বিড়লা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও সেঞ্চুরি টেক্সটাইল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-সহ বেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯২১ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বি কে বিড়লা। শিল্পপতি ঘনশ্যাম দাস বিড়লার কনিষ্ঠ এই পুত্র মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই হাতেকলমে ব্যবসার কাজে যোগ দেন। কেশোরাম ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি পদ থেকে শুরু করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায় সহায়কও হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধি ও সুদক্ষ পরিচালনার উপর ভর করেই বি কে বিড়লা গ্রুপের প্রসার বাড়তে থাকে। গঠিত হয় সেঞ্চুরি টেক্সটাইল,সেঞ্চুরি এনকা এবং জয়শ্রী টি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজও। দেশ জুড়ে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন তিনি। কলেজ অফ আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্সেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বেশ কিছু বইও লিখেছেন বি কে বিড়লা। ভারতবর্ষকে ব্যবসায়িক দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে বি কে বিড়লার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে গভীরে শোকপ্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেরা। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।
তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতার বিড়লা পার্কে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসা হবে মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। প্রয়াত শিল্পপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতাতে বিড়লা বিল্ডিংয়ের সমস্ত কাজকর্ম বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হবে। উত্তরসূরি হিসেবে রেখে গেলেন দুই কন্যা মঞ্জুশ্রী খৈতান ও জয়শ্রী মোহতাকে। বি কে বিড়লার স্ত্রী সরলা বিড়লা ২০১৫-তেই মারা যান। ১৯৯৫-এ মৃত্যু হয় তাঁর একমাত্র পুত্র আদিত্য বিক্রম বিড়লাও।
আরও পড়ুন: আছড়ে পড়তে পারে সাড়ে চার মিটার উঁচু ঢেউ, জলমগ্ন মুম্বইয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন, মৃত্যু ৩৮ জনের
দু’দশক পর কংগ্রেসের রাশ যাচ্ছে গাঁধী পরিবারের বাইরে, রাহুলের উত্তরসূরির দৌড়ে শিন্ডে-খড়্গে