বন্ধ থাকা কাছাড় কাগজকল ফের খোলার জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র এখনও পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে ছাড়পত্র দেয়নি। তা মিললেই পাঁচগ্রাম কাগজ কল পুনরুজ্জীবনে হাত লাগাবে রাজ্য।
আজ বিধানসভায় শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানান, হিন্দুস্তান পেপার মিলের অধীনস্থ কাছাড় কাগজ কল ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে বন্ধ আছে। কারখানার কর্মীরা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না। চলছে ধর্মঘট ও আন্দোলন। বন্ধ থাকায় কাগজ কলের গত এক দশকের আয়ব্যয়ের খতিয়ান পায়নি রাজ্য সরকার।
পাটোয়ারি জানান, কাগজ কলের পুনরুজ্জীবন ও পুনর্গঠনের জন্য হিন্দুস্তান পেপার মিল কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব দাখিল করেছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকারও। কেন্দ্র ওই পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাবে সম্মতি দিলে কাগজকল ফের খোলা হবে। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে।
কাছাড়বাসীর একাংশের বক্তব্য, ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঁচগ্রামে জনসভা করে কাগজকল খোলার আশ্বাস দিলেও কাজ এগোয়নি। নগাঁও কাগজকলও ধুঁকছে। আগাম টাকা নিয়েও স্কুলে খাতাবই ছাপানোর জন্য কাগজ সরবরাহ করতে না পারায় জাগি রোড কাগজকলকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে শিক্ষা দফতর।
গত মাসে হিন্দুস্তান পেপার মিলের সদর দফতর কলকাতা থেকে সরিয়ে গুয়াহাটি আনার কথা ঘোষণা করা হয়। তাদের দফতর খোলার জন্য উলুবাড়িতে অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণের দফতর বিনা ভাড়ায় দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন পাটোয়ারি। তিনি এ দিন জানান, সদর দফতর স্থানান্তর করাও পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ারই অঙ্গ। কেন্দ্র কাগজকল দু’টির পুনরুজ্জীবনের জন্য ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করছে। কাগজকলের জন্য বাঁশ ও কয়লা ভ্যাটমুক্ত করার কথাও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।