‘ইঞ্জেকশন সাইকো’র হানা, ত্রস্ত পশ্চিম গোদাবরী

পথচলতি মানুষের গায়ে আচমকাই ইঞ্জেকশনের সূচ ফুটিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। হামলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন আক্রান্ত ব্যক্তি! এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ১৫:০৯
Share:

পথচলতি মানুষের গায়ে আচমকাই ইঞ্জেকশনের সূচ ফুটিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। হামলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন আক্রান্ত ব্যক্তি! এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়। হামলাকারী খুঁজে বের করতে ঘাম ও ঘুম দুটোই ছুটে গিয়েছে প্রশাসনের। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন কচি থেকে বয়স্করা। এই বুঝি পিছন থেকে সূচ ফুটিয়ে দেবে ‘ইঞ্জেকশন সাইকো’। আরও আশ্চর্যের বিষয়, এই ‘ইঞ্জেকশন সাইকো’ না কি বেছে বেছে মহিলাদেরই বেশি আক্রমণ করছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তার প্রথম শিকার এক অটো চালক। তার পর থেকে এক এক করে ২৫ জনকে সূচ ফুটিয়েছে সে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, আক্রান্তেরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। পুলিশের অনুমান, এটা কোনও মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকের কাজ। বেশ কয়েক জন আক্রান্ত পুলিশকে জানিয়েছেন বাইকে করে এসে সূচ ফুটিয়ে দিয়েই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৪৫টি বিশেষ দল গঠন করে ‘ইঞ্জেকশন সাইকো’র খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ইঞ্জেকশনে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করছে ওই হামলাকারী। কিন্তু পুলিশের দাবি, কোনও রাসায়নিকই পাওয়া যায়নি। আক্রান্তদের বয়ানের ভিত্তিতে হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করেছে পুলিশ। সমস্ত হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবগুলোতে খোঁজ চালানো হচ্ছে। জেলার প্রত্যেকটি ওষুধের দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিরিঞ্জ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন