Uttar Pradesh

হিংসার আশঙ্কায় উত্তরপ্রদেশের ৭৫ জেলার মধ্যে ২১টিতে বন্ধ ইন্টারনেট

নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৫২
Share:

কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশকে। রাস্তায় চলছে পুলিশের টহল। ছবি: পিটিআই।

উত্তরপ্রদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, ৭৫টি জেলার মধ্যে ২১টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। গোটা রাজ্য নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে নামানো হয়েছে আধাসামরিক বাহিনীও।

Advertisement

রাজ্য জুড়ে হিংসা চলাকালীন বিজনৌর, বুলন্দশহর, মুজফফরনগর, মেরঠ, আগরা, সম্ভল, ফিরোজাবাদ, আলিগড়, গাজিয়াবাদ, রামপুর, সীতাপুর এবং কানপুরে আগেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার প্রার্থনার পর সিএএ-র প্রতিবাদে ফের হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কায় আরও বেশ কয়েকটি জেলায় এই পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ এ দিন বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার উপরও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৯ হাজার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন। গত সপ্তাহেই ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৪৯৮ জনকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন। হিংসায় মদত ও জড়িত থাকার অভিযোগে শুধুমাত্র মেরঠেই ৭৯টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৭ জনকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ বলেন, “পুলিশ কোনও নিরীহ ব্যক্তিকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যাঁরা হিংসায় মদত দিচ্ছেন, তাঁদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। এবং সে কারণেই বেশ কয়েকটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। নানা প্রান্তে হিংসা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বাস, গাড়িতে ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কোথাও লাঠিচার্জ, কোথাও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিচালনার অভিযোগও উঠেছে। যা নিয়ে রাজনীতি বেশ সরগরম। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাও অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও প্লাস্টিক পেলেট ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বিজনৌরে গুলিতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। যোগীর রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই সময়ই পাল্টা বিক্ষোভকারীদের গুলি চালানোর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন