বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন, আহ্বান রাষ্ট্রদূতের

দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে শুক্রবার হর্ষবর্ধনের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করেছিল ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

কলকাতায় হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।

নানা ওঠাপড়া সত্ত্বেও ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন খুবই মধুর। এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ঢাকায় ভারতের হাই-কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। উন্নয়নের জন্য দু’দেশের পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আলোচনাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি। এর মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগও রয়েছে। তাঁর বক্তব্য— সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ যেমন ভারতের পাশেই রয়েছে, তেমনই তিস্তা চুক্তি দ্রুত রূপায়ণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য দিল্লি ঘরোয়া স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে।

Advertisement

দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে শুক্রবার হর্ষবর্ধনের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করেছিল ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স। সেখানে বাংলাদেশে লগ্নির সুযোগ ও বাংলাদেশের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে সহজে পৌঁছনোর সুবিধা ব্যাখ্যা করেন তিনি। তারই মধ্যে ওঠে সন্ত্রাসবাদ, না-হওয়া তিস্তা চুক্তি ইত্যাদির মতো নানা বাধার প্রসঙ্গও। এ সবের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা কতটা স্বচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, সভার পরে সে প্রশ্নের জবাবে উভয়ে দেশের সম্পর্কের উন্নতির পক্ষেই আশা প্রকাশ করেন এই ভারতীয় কূটনীতিক। বলেন, ১০ বছর আগের চেয়ে এখন দু’দেশের সম্পর্ক এখন অনেক উন্নত।

আরও পড়ুন:মোদীর স্বাধীনতা সঙ্কল্পে না রাজ্যের

Advertisement

শ্রিংলার মতে, সন্ত্রাসবাদ দমনে যথেষ্ট কড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিদের দিল্লির হাতে তুলে দিতে ঢাকার ভূমিকা খুবই ইতিবাচক। অমরনাথে জঙ্গি হামলার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন হাসিনা। শ্রিংলা বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে দু’দেশের মনোভাবই এক।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় দু’দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কেউ একা পারবে না।’’

তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গে শ্রিংলা জানান, আলোচনার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জল বা স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘তখনও প্রচুর বিরুদ্ধ মত ছিল। কিন্তু ঐকমত্যের ভিত্তিতেই চুক্তি হয়েছে।’’ তিস্তার ক্ষেত্রেও
একই পথে হাঁটার উপর জোর দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এ নিয়ে আমাদের দেশে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন