আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিস্ফোরণের পর তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে তদন্তকারী এক সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ চিকিৎসক-সহ মোট ৪৮ জনকে জেরা করা হয়েছে। তবে জেরার পর্ব চলবে বলেও ওই সূত্রের খবর। গত বুধবারই আল ফালাহে্র এক ওয়ার্ডবয়কে বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের মদত জোগানোর অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
তবে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তের রেশ আল ফালাহ্ ছাড়িয়ে এ বার দিল্লিরই বেশ কয়েকটি হাসপাতালে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। ওই সূত্রের দাবি, তদন্তকারী সংস্থাগুলির তরফে রাজধানীর সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সব চিকিৎসক বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, চিন এবং পাকিস্তানে এমবিবিএস করেছেন এবং বর্তমানে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে কর্মরত, এমন চিকিৎসকদের চিহ্নিত করে তাঁদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
অদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর-উন-নবির নেটওয়ার্ক যে শুধু আল ফালাহ্তেই সীমাবদ্ধ ছিল এমনটা নয়, তার বাইরেও উমরের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে। আর সেই নেটওয়ার্ক ম্যাপিং করতেই দিল্লির হাসপাতালগুলিকেও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীরের হাসপাতালগুলিতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। হাসপাতালগুলিতে কর্মরত চিকিৎসকদের লকারগুলিতে তল্লাশি অভিযান চলছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিস্ফোরণের আগে অনন্তনাগের একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক আদিল রাথরের লকার থেকে একে ৪৭ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আর যে সূত্রে ধরেই ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর হদিস মেলে। আর সেই মডিউল-এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনা। এবং ঘটনাচক্রে, সেই মডিউলের অন্যতম সদস্য এই আদিল।