সুপ্রিম কোর্ট।— ফাইল চিত্র।
প্রধান বিচারপতি কি ‘বিদ্রোহী’ বিচারপতিদের সামনে মাথা নোয়ালেন, শুক্রবার এই জল্পনা চলল সুপ্রিম কোর্টে।
জল্পনা উস্কে দিয়েছে প্রধান বিচারপতিরই একটি নির্দেশ। বিচারক ব্রিজগোপাল লোয়ার মৃত্যুরহস্যে তদন্তের আর্জি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চে পাঠানো নিয়েই চার বিচারপতি আপত্তি তোলেন। ওই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে শেষ শুনানির দিন বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, এর পরে যেন মামলাটি উপযুক্ত বেঞ্চে তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে মামলাকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েন, এই মামলা কার বেঞ্চে, কবে শুনানি হবে।
আজ সেই প্রশ্ন নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে হাজির হন মামলাকারী তেহসিন পুণাওয়ালার আইনজীবী বারীন্দ্র শর্মা। প্রধান বিচারপতি জানান, ২২ জানুয়ারি, সোমবার, রুটিন অনুযায়ী মামলাটি উপযুক্ত বেঞ্চে তালিকাভুক্ত করা হবে।
এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি ক্ষুব্ধ বিচারপতিদের দাবি মেনে নির্দিষ্ট রুটিন বা রোস্টার তৈরির পথে হাঁটছেন প্রধান বিচারপতি? কারণ ক্ষুব্ধ বিচারপতিদের অভিযোগ ছিল, প্রধান বিচারপতি বাছাই করা কিছু বিচারপতির বেঞ্চেই গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি পাঠাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনও এই রুটিনের দাবি তুলেছিল। সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরির পথে হাঁটবেন, এখনও এটি নিশ্চিত নয়। রুটিন এমনিতেই থাকে। কিন্তু সেখানে প্রধান বিচারপতির কথাই শেষ কথা। নিয়মের বালাই নেই। আইনজীবীদের ব্যাখ্যা, ভবিষ্যতের প্রধান বিচারপতিরাও এই ক্ষমতাটুকু হারানোর পক্ষে মত দেবেন না। কারণ বিচারের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির বাড়তি ক্ষমতা নেই। এই প্রশাসনিক ক্ষমতাটুকুই বাড়তি। সেটুকু বিসর্জন দেওয়া হোক, কোনও প্রধান বিচারপতিই তা চাইবেন না।