ফাঁসি হয়ে যেতে ঠিক কত সময় লাগে? ব্যথা লাগে কি খুব? মেরঠের চৌধুরি চরণ সিংহ জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইছে নিঠারি হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির আসামি সুরেন্দ্র কোলি। এক বার যার ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক হয়েও এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে।
আগামিকাল, ১২ সেপ্টেম্বর ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল কোলির। জেল সূত্রের খবর, ফাঁসি আপাতত স্থগিত হলেও মানসিক ভাবে সে অনেকটাই প্রস্তুত। ফাঁসির দিন নিয়ে জেলকর্মীদের কাছে বারবার খোঁজখবর নিচ্ছে কোলি। মাঝে মাঝেই বিড়বিড় করছে হনুমান চালিসা। বেশির ভাগ সময়টা সেলের মধ্যে ধর্মীয় বই পড়ে কাটাচ্ছে। খুব একটা কথাও বলছে না।
আজ সকালে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া থেকে সুরেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর মা কান্তি কোলি। ২০০৫ সালে নয়ডা থেকে সুরেন্দ্র গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম ছেলের সঙ্গে দেখা করলেন বছর সত্তরের বৃদ্ধা। জেলে প্রায় ৪৫ মিনিট মা-ছেলের কথা হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কান্তি বলেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাঁচাতে গিয়েই বলির পাঁঠা করা হল ওকে।”
২০০৫ থেকে ২০০৬-এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার নিঠারি এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল জনা কুড়ি শিশু। সুরেন্দ্র কোলি যে বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত, তারই সংলগ্ন নর্দমা থেকে পরে উদ্ধার হয় প্রচুর কঙ্কাল। কোলি ও বাড়ির মালিক মণীন্দ্র সিংহ পান্ধেরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। মৃতদেহ ভক্ষণ ও মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগও উঠেছিল কোলির বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে চোদ্দো বছরের কিশোরী রিম্পা হালদারকে খুনের অভিযোগে কোলিকে ফাঁসির সাজা শোনায় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। মণীন্দ্রর মৃত্যুদণ্ড মকুব হয়ে যায়। ২০১১-র ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট কোলির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। গত জুলাইয়ে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।