দলাই লামা।
হিন্দি বলয়ে মাংস কেনাবেচা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ও বিতর্কের জের আগেই লেগেছিল অরুণাচলে। রাজ্যের বিজেপি সরকার জানিয়েছিল, উপজাতিপ্রধান অরুণাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এ বার খোদ দলাই লামাও তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন।
বৌদ্ধপ্রধান পশ্চিম কামেং জেলার সদর দফতর বমডিলায় হওয়া আলোচনাচক্রে দলাই লামাকে প্রশ্ন করা হয়, বৌদ্ধ ধর্মের মূল কথা অহিংসা। তবে কী বৌদ্ধ এলাকায় নিরামিষ ভক্ষণই উচিত নয়? জবাবে দলাই লামা বলেন, "বৌদ্ধ ধর্মে আমিষ-নিরামিষ ভেদাভেদ কখনওই ছিল না। মানুষ পশুমাংস ভক্ষণ করতেই পারে। কিন্তু তা যেন মৃত পশুর মাংস হয়। খাবারের জন্য পশু হত্যা বা শিকার করা ঠিক নয়। বৌদ্ধদের অনেকেই এ কারণে নিরামিষ খান।" বমডিলা-তাওয়াং-সহ অরুণাচলের বিভিন্ন স্থানে মিথুন-চমরি গাইয়ের মাংস খাওয়া হয়। অবশ্য মন-পা দের অনেকে অ-বৌদ্ধ ব্যক্তিদের চমরি মারার কাজে লাগান। নিজেরা তা হত্যা করেন না। দলাই লামা নিজে ধরমশালায় নিরামিষ খেলেও বাইরে গেলে, অতিথিরা নিরামিষ দিলে তা গ্রহণ করেন। তিনি এ দিন বমডিলা থেকে দিরাংয়ে যান তিনি। সেখানে নবনির্মিত থুফুং ধারগেলিং মঠ উদ্বোধন করে 'অবলোকিতেশ্বরের অনুমতি' সংক্রান্ত বাণী বিতরণ করেন তিনি। অরুণাচল তো বটেই ভুটানেরও অনেকে তাঁকে দেখতে হাজির ছিলেন। দলাই লামার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য, মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, স্পিকার টি এন থন্ডক। দলাই লামা বলেন, "ধর্ম নিয়ে তুচ্ছ সাম্প্রদায়িকতা, ভেদাভেদ, গোঁড়ামি চালালে উন্নতি হবে না। সততা, করুণা ও সহানুভুতিই মানুষের উন্নতি ঘটাতে পারে। অবিবেবচক বা অর্বাচীন বৌদ্ধ হওয়ার থেকে নাস্তিক হওয়া ভাল। ভারতই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য নিয়ে বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।"
আরও পড়ুন- রাজস্থানে গোরক্ষকদের হাতে খুনের ঘটনা জানা নেই: নাকভি