সমাজবাদী পার্টির প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সোমবার পুলিশি প্রহরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে বিএইচইউ। ছবি: পিটিআই।
শ্লীলতাহানির কোনও ঘটনাই নাকি নয়। স্রেফ ‘ইভটিজিং’। এবং সেই ‘ছোট্ট ঘটনা’র জেরে যা যা হয়েছে, সে সব নাকি হয়েছে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবেই’!
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্যই করলেন উপাচার্য গিরিশচন্দ্র ত্রিপাঠী। তাঁর এই মন্তব্যের পর ফের আন্দোলনের উত্তপ্ত আগুনে ঘি পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে কি ‘ইভটিজিং’ বৈধ?
গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরেই ছাত্রীরা মহিলা হস্টেলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা উপাচার্যের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু, উপাচার্য তাতে খুব একটা আমল দেননি। উল্টে পুলিশ এসে ওই ছাত্রীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেধড়ক লাঠি চালায়। সেই লাঠিপেটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। এর পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে গোটা দেশ জুড়ে। এ বার সেই বিতর্কে জুড়ে গেল উপাচার্যের এই ‘ইভটিজিং’ মন্তব্য। ছাত্রীদের অভিযোগ, সে দিন অভিযোগ পেয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেননি উপাচার্য। এখন এ ধরনের মন্তব্য করে ছাত্রীদের তিনি অপমানই করছেন।
আরও খবর
ট্রেন-প্ল্যাটফর্মে টিকিট পরীক্ষা করতে পারবে না আরপিএফ
উপাচার্য আরও মন্তব্য করেছেন, সামান্য একটা ঘটনা নিয়ে ছাত্রীদের এমন প্রতিবাদ করাটা ঠিক হয়নি। তিনি আরও জানান, দিন কয়েকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে আসবেন। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই করা হচ্ছে বলেও উপাচার্য মন্তব্য করেছেন। তাঁর দাবি, অভিযোগকারিণী ছাত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সে ছাত্রীও নাকি তাঁকে জানিয়েছেন, বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে।