১০ দিনে ১১ জঙ্গিকে মেরে শহিদ

দশ দিনে ১১ জন জঙ্গিকে খতম করেছিলেন। শেষ লড়াইয়েও বীরের মতোই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি। গত ১১ দিনে কাশ্মীরে তিনটি জঙ্গি-দমন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেনাবাহিনীর স্পেশ্যাল ফোর্সের কম্যান্ডো ল্যান্স নায়েক মোহননাথ গোস্বামী। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের হান্দওয়ারায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:২২
Share:

মোহননাথ গোস্বামীকে (ইনসেটে) শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সেনাবাহিনীর। ছবি: টুইটার থেকে।

দশ দিনে ১১ জন জঙ্গিকে খতম করেছিলেন। শেষ লড়াইয়েও বীরের মতোই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি। গত ১১ দিনে কাশ্মীরে তিনটি জঙ্গি-দমন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেনাবাহিনীর স্পেশ্যাল ফোর্সের কম্যান্ডো ল্যান্স নায়েক মোহননাথ গোস্বামী। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের হান্দওয়ারায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

Advertisement

নৈনিতালের ইন্দিরানগর গ্রামের বাসিন্দা মোহন। স্ত্রী ও সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে নিয়ে সংসার। সেনাবিভাগের প্যারা কম্যান্ডো শাখায় যোগ দেন ২০০২ সালে। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি দমনের বিভিন্ন অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন মোহন। তাঁর প্রথম অভিযান হয়েছিল হান্দওয়ারার খুরমুরে। ২৩ অগস্টের ওই অভিযানে তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিকে মারেন তিনি। এর পরে কাশ্মীরের রাফিয়াবাদে পরপর দুটি অভিযানে অংশ নেন। ২৬ ও ২৭ অগস্ট— দু’দিন ধরে চলে ওই দুই ওই অভিযান। সেখানেও প্রচণ্ড গোলাগুলির মধ্যে তিন জঙ্গিকে শেষ করেন তিনি। এক জন জঙ্গি ধরা পড়ে। তাঁর চতুর্থ অভিযান ছিল কুপওয়ারার কাছে হাফ্রুদা-র গভীর জঙ্গলে। সেখানেই চার জঙ্গিকে খতম করে নিজেও প্রাণ হারান তিনি।

অকুতোভয় মোহন সব সময়ই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতেন। ছুটি নেওয়া তাঁর ধাতে ছিল না। এখন তাঁর পরিবার ইন্দিরানগরে থাকলেও মোহনদের আদি বাড়ি বরেলীতে। আজ তাঁর দেহ আগে বরেলীতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সেনা হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয় পন্থনগরে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেনাপ্রধান ও নর্দার্ন কম্যান্ডের প্রধানের তরফে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। এ ছাড়াও কম্যান্ডার জেনারেল সতীশ কুমার দুয়া ও সব স্তরের পুলিশকর্মীরা মালা দেন মোহনের মৃতদেহে। দশ দিনে ১১ জন জঙ্গিকে খতম করাই নয়, মোহন তাঁর শাখার সব চেয়ে সাহসী ও দৃ়ঢ়প্রতিজ্ঞ বলেই পরিচিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র এস ডি গোস্বামী। শেষ লড়াইয়েও সেই সাহস অক্ষুণ্ণ রাখলেন মোহন।

Advertisement

জঙ্গি-সংঘর্ষে হত আরও এক জওয়ান শিশির মালের শেষকৃত্য আজ সম্পন্ন হয় উত্তরাখণ্ডে। শেষকৃত্যের আগে শিশিরকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতেই। উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কে কে

পালের ব্যক্তিগত সহকারী ও মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত দু’জনেই নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানান। রাওয়াত বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের জওয়ানরা সব সময়ই দেশের জন্য নিজেদের জীবন দিয়ে থাকেন। আমরা এই ঐতিহ্যের জন্য গর্ব অনুভব করি।’ নিহত জওয়ানদের পরিবারকেও সব রকম ভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন রাওয়াত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন